নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে জিডিপির অর্থ হল 'গ্যাস, ডিজেল, পেট্রল'। সেই জ্বালানি তেল এবং গ্যাসের দাম বাড়িয়ে গত সাত বছরে ২৩ লাখ কোটি টাকা আয় করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেটাইকেই দেশের আর্থিক বৃদ্ধি হিসেবে দেখছে সরকার। এমনই ভাষায় ঊর্ধ্বমুখী গ্যাস, পেট্রল এবং ডিজেলের দাম নিয়ে মোদী সরকারকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি অভিযোগ করেন, বিজেপি সরকারের আমলে যেখানে কৃষক, বেতনভুক চাকুরিজীবী এবং শ্রমিকদের মতো মানুষের হাত থেকে টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে, সেখানে মোদীর কয়েকজন শিল্পপতি ‘বন্ধুর’ হাতে পকেট ভরতি হচ্ছে। আমজনতার টাকা কোথায় যাচ্ছে, তা মোদী সরকারের থেকে জানার আর্জি জানান কংগ্রেস সাংসদ। রাহুল বলেন, ‘একদিকে যখন নোটবন্দি চলছে, অন্যদিকে সেখানে নগদীকরণ হচ্ছে। কৃষক; শ্রমিক; ছোটো ব্যবসায়ী; অসংগঠিত ক্ষেত্র; ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল্প; চুক্তিভিত্তিক কর্মী; বেতনভুক কর্মী এবং সৎ শিল্পপতিদের নোটবন্দি হচ্ছে। আর কাদের হাতে টাকা যাচ্ছে? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চার-পাঁচজন বন্ধুর কাছে।’
রাহুলের অভিযোগ, গরিব এবং দুর্বল শ্রেণির মানুষের সম্পদ প্রধানমন্ত্রী ‘বন্ধুদের’ হাতে চলে যাচ্ছে। মোদী সরকার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারছে না এবং জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। যখন আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেলপিছু অপরিশোধিত তেলের দাম ৯০-১০০ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে, তখন পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাবে। কংগ্রেস এবং বিজেপির আমলে জ্বালানি তেল এবং রান্নার গ্যাসের তুলনা করে রাহুল দাবি করেন, ২০১৪ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে ১৪.২ কেজি রান্নার গ্যাসের দাম ছিল ৪১০ টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮৫ টাকা। ২০১৪ সালে এক লিটার পেট্রল এবং ডিজেলের দাম ছিল যথাক্রমে ৭১.৫ টাকা এবং ৫৭ টাকা। যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০১ টাকা এবং ৮৮ টাকা। অথচ ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম লাগাতার কমছে বলে দাবি করেন রাহুল।