ঋষি সুনাক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসার পর একমাসের মধ্যেই তাঁর মন্ত্রিসভায় প্রথম পদত্যাগের ঘটনা উঠে এল। ঋষির মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন মন্ত্রী গ্যাভিন উইলিয়ামসন। ফলে এটিই ঋষির মন্ত্রিসভায় প্রথম পদত্যাগ হিসাবে উঠে এল। প্রসঙ্গত গ্যাভিনের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই উৎপীড়নের অভিযোগ উঠছিল। আর তা ঘিরেই পদত্যাগ।
প্রসঙ্গত, এক সহকর্মীকে পাঠানো একটি টেক্সট মেসেজই এই ইস্তফার আসল কারণ হয়ে ওঠে। তারপর থেকেই গ্যাভিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ শুরু হয়। যদিও গ্যাভিন তাঁর কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। তবে তাতেও ক্ষোভের আগুন মেটেনি। গ্যাভিন বলছেন, এই ধরনের অভিযোগ ‘বর্তমান সরকারের ভালো কাজের থেকে দৃষ্টি অন্যত্র করা হচ্ছে।’ তবে তিনি এও বলছেন, যে যেভাবে পুরনো অভিযোগকে সামনে এনে তাঁর চরিত্র বিশ্লেষণ করা হচ্ছে, তাও সঠিক নয়। উল্লেখ্য, থেরেসা মে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন গ্যাভিন ছিলেন, সেখানের ডিফেন্স সেক্রেটারি। এক মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, এক সিনিয়র কর্মীকে সেই সময় ‘গলা কাটার’ মতো হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ছিল গ্যাভিনের বিরুদ্ধে। বহু কনসারভেটিভ প্রতিনিধিই গ্যাভিনের বিরুদ্ধে উৎপীড়ন করার অভিযোগ এনেছেন। মজা মশকরা ঠাট্টায় অন্যদের হেয়জ্ঞান করার অভিযোগ রয়েছে গ্যাভিনের বিরুদ্ধে।
গত মাসেই সেই উৎপীড়নমূলক টেক্সট মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে গ্যাভিনের বিরুদ্ধে। রয়েছে ধমক, চমক দেওয়ার অভিযোগও। যদিও গ্যাভিন উইলিয়ামসন বলছেন, এসবের নেপথ্যে তিনি নেই। তাঁর মতে সরকারের ভালো কাজ থেকে দৃষ্টি সরাতেই এমন উদ্য়োগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এক চেক প্রদান নিয়েও গ্যাভিনের বিরুদ্ধে উঠেছে নানান অভিযোগ। চেক দেওয়া নিয়ে গ্যাভিনের মশকরা সম্পর্কে সরব হয়েছেন এক টোরি সাংসদও। এদিকে, গ্যাভিনের ইস্তফা গ্রহণ করে ঋষি সুনাক লিখেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমি এই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করছি। পর পর কনসারভেটিভ সরকারে আপনার প্রতিজ্ঞাবদ্ধতা আমি জানি। আর পার্টির প্রতি আপনি কতাট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সেটাও জানি। ’