নমিনেশন জমার প্রক্রিয়া শুরু হতেই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা তথা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেলেন ঋষি সুনক। ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই ২০ জন কনজারভেটিভ সাংসদ সমর্থন জানিয়েছেন। ৪২ বছর বয়সি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সাংসদকে অবশ্য অনেক বাধা পার করতে হবে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে অন্যতম হতে চলেছেন ইরাকি বংশোদ্ভূত কনজারভেটিভ সাংসদ তথা বর্তমান অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাবি। তাছাড়া কজারভেটিভ পার্টির আরও হেভিওয়েট সব নেতারাও এই দৌড়ে সামিল হবেন।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ঋষি সুনক এগিয়ে গেলেও দৌড় থেকে নাম প্রত্যাহার করলেন প্রীতি পাটিল। গুজরাটি বংশোদ্ভূত প্রীতি বর্তমানে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সামিল হচ্ছেন না। বরং তাঁর নদরে দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা থাকবে বলে জানান প্রীতি। প্রীতি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র সচিব হিসাবে, আমি সর্বদা আমাদের দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা এবং জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছি। আমার ফোকাস হল আমাদের দেশের রাস্তায় আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা। আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে এবং আমাদের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের নিরাপত্তা পরিষেবাগুলিকে সমর্থন করাই আমার কাজ।’
গতকাল সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হওয়ার জন্য মনোনয়ন জমা দিতে পারতেন সাংসদরা। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত পেনি মর্ডান্ট এবং টম টুগেনধাতও ঋষির মতো ২০ সাংসদের সমর্থন নিয়ে মনোনয়ন পেশ করেছেন। তাছাড়া জেরেমি হান্ট, লিজ ট্রাস সহ মোট আটজন প্রতিদ্বন্দ্বী দৌড়ে টিকে আছেন এখনও। এদিকে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাজিদ জাভিদকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হলেও শেষ মুহূর্তে তিনি দৌড় থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করেন। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টির তরফে এই আট প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে শেষ দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে বেছে নেওয়া হবে। তাঁদের মধ্যেই শেষ লড়াই হবে।