গতকালই বরিস জনসনের শিবির থেকে দাবি করা হয়েছিল যে প্রয়োজন মতো ১০০ সাংসদের সমর্থন রয়েছে তাদের কাছে। তবে রাত গড়াতেই বদলে যায় অঙ্ক। বরিস জনসন জানিয়ে দেন, কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান পদের জন্য তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। এই আবহে ঋষি সুনকের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রাস্তা প্রায় সাফ। এই আবহে আজকেই তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেতে পারেন।
রবিবারই বরিস জনসন ঘোষণা করেন যে তিনি কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান পদের জন্য লড়াই করবেন না। এর আগে তিনি ‘দল বাঁচাতে’ ঋষিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বারণ করেছিলেন বরিস। দুই নেতার মধ্যে গোপন বৈঠকও হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ঋষি সুনক ঘোষণা করে দেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। জানা যায়, তাঁর কাছে ১৪০ জনেরও বেশি সাংসদের সমর্থন রয়েছে। এই আবহে রবিবার বরিস লড়াইয়ের আগেই ‘হার’ মেনে নেন। জানা গিয়েছে, দলের সাংসদদের সমর্থন জোগাড় করতে না পেরেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বরিস জনসন।
এদিকে বরিস লড়াই থেকে সরে যাওয়ায় ঋষির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী গতে চলেছেন পেনি মরড্যান্ট। তবে তাঁর কাছে ৩০ জনেরও কম সাংসদের সমর্থন রয়েছে। সোমবার ব্রিটিশ সময়ে দুপুর ২টোর মধ্যে যদি তিনি ১০০ জন সাংসদের সমর্থন না জোগাড় করতে পারেন, তাহলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঋষি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেতে পারেন আজই। যদি সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হন, তবে তিনিই প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত হবেন, যিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসবেন। এর আগে মাত্র দেড় মাস আগেই লিজ ট্রাসের কাছে হেরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছিলেন ঋষি। তবে লিজের পরপর ‘ভুল’ পদক্ষেপের জেরে দেড় মাসেই ইতিহাসের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেন ঋষির।