ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নাম লেখানোর পর থেকেই তাঁর স্ত্রীকে ঘিরে নানা বিতর্কের সম্মুখীন হতে হয়েছিল ঋষি সুনককে। তবে তিনি যে তাঁর পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাবেন, তা স্পষ্ট করে দিলেন ঋষি। বেশ কয়েক দফার ভোটের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এখন অবশিষ্ট লিজ ট্রাস এবং ঋষি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষির সামনে ইতিহাস গড়ার হাতছানি থাকলেও রয়েছে বহু বাধা। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর জানা যাবে যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষি শপথ নেবেন কি না। তার আগে নিজের জয় নিশ্চিত করতে প্রচারে নেমেছেন ঋষি। তাঁর সঙ্গী স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি।
প্রসঙ্গত, অক্ষতা ভারতীয় নাগরিক। ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতা। এহেন অক্ষতার বিরুদ্ধে একাধিক সময়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তিনি ব্রিটিশ নাগরিক না হওয়ায় সেদেশে কর দেন না। তবে তিনি স্বামীর সঙ্গে সেখানেই থাকেন। এই নিয়ে ঋষি বিরোধীরা বরাবর সরব। তাছাড়া অক্ষতা ও ঋষির ধন সম্পদও নজর এড়ায়নি বিরোধীদের। এর আগে ঋষির স্ত্রী সাংবাদিকদের জন্য ৩৮ পাউন্ড দামের কাপে চা এনেছিলেন বলে তাঁকে ট্রোল করা হয়েছিল। তবে সেসব ছাপিয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ের ফাইনালে পৌঁছেছেন ঋষি। এবার কনজারভেটিভ পার্টির লক্ষাধিক সদস্যদের নিজের দিকে টানতে প্রচার শুরু করবেন ঋষি। প্রচারে স্ত্রী, সন্তানদেরও সঙ্গে নিয়েছেন ঋষি। সেই ছবি তিনি নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে আপলোডও করেছেন।
পরিবারের সঙ্গে ছবি আপলোড করে ঋষি লিখেছেন, ‘পরিবার মানে আমার কাছে সবকিছু। গ্রান্থামে গতকালের ইভেন্টে আমার পরিবারের সমর্থন পেয়ে তাই কৃতজ্ঞ। যারা আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদের ধন্যবাদ।’ এদিকে ঋষি সুনকে ক্ষুব্ধ বরিস। তিনি তাঁর অনুগামীদের বলেছেন, ঋষি যাতে কোনও ভাবেই প্রধানমন্ত্রী না হন। এই আবহে ঋষি নিজেও বলছেন, ‘আমি এই লড়াইতে আন্ডারডগ।’ যদি ঋষি সুনক এই দৌড়ে জিতে যান, তবে তিনিই ব্রিটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হবেন, যিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত।