কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে রামকথার আসর।সেখানে প্রবচন দিচ্ছেন আধ্যাত্মিক গুরু মুরারি বাপু। আর তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে এটা হল মুরারি বাপুর ৯২১ তম প্রবচন। এটাকে মানস বিশ্ববিদ্যালয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইন্ডিয়া টিভির খবর অনুসারে জানা গিয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ফুল দিয়ে প্রণাম করেন ওই গুরুকে। এরপর তিনি তাঁকে বলেন জয় শ্রীরাম।। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রামকথার আসরে মুরারি বাপুর সঙ্গে দেখা করতে পেরে অত্যন্ত সম্মানিত ও আনন্দ অনুভব করছি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছি, বাপু আমি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আসিনি, আজ আমি এসেছি একজন হিন্দু হিসাবে।
তিনি এই অনুষ্ঠানে এসে সেই ১১ ডাউনিং স্ট্রিটের দিনগুলোর কথা স্মরণ করেন। চ্য়ান্সেলর ছিলাম তখন। দেওয়ালির সময় প্রদীপ জ্বালাতাম। ডেস্কে সোনার গণেশ রেখে দিতাম। জানিয়েছে ঋষি সুনক।
তিনি বলেন, ব্রিটিশের পাশাপাশি হিন্দু হিসাবে গর্বিত। ছোটবেলায় ভাই বোনেদের সঙ্গে পুজো দিতে যেতাম। প্রসাদ খেতাম। আসলে এই যে সেবা করার ব্রত, এই হিন্দু মূল্যবোধটা ব্রিটিশ মূল্যবোধের সঙ্গে মিলে যায়।
তিনি বলেন ভগবান রামচন্দ্র সবসময় আমার অনুপ্রেরণা।…বাপু আপনি যা করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার সত্য, ভালোবাসা আর দয়াশীলতার শিক্ষা এটা আজ আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। ঋষি সুনক মঞ্চের আরতিতেও অংশ নেন।
বাপু ঋষি সুনকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বলেই উল্লেখ করেন। তিনি প্রসাদ নিবেদন করেন। তিনি সোমনাথ থেকে নিয়ে যাওয়া শিবলিঙ্গ দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে। তবে এই প্রবচনের আগে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতের জাতীয় পতাকা তোলেন মুরারি বাপু। ভারতের স্বাধীনতা উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে তিনি এইভাবে জাতীয় পতাকা তোলেন। তবে এদিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বার বারই পুরানো দিনের কথা তুলে ধরেন। সব মিলিয়ে কেমব্রিজে এদিন ছিল একেবারে অন্যরকম আবহ। এদিন বেশ আবেগে ভেসে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।