এককালে পড়াশোনা করেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। স্নাতোকোত্তরে পড়েছেন কানপুর আইআইটি থেকে। বর্তমানে তাঁর পরিচিতি শুধু আইটি সংস্থা ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবেই শুধু নয়, তারসঙ্গে তিনি বর্তমানে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের শ্বশুরমশাই হিসাবেও পরিচিত। এহেন নারায়ণ মূর্তি প্রসঙ্গ তুললেন ভারতের শিক্ষার মান নিয়ে।
'ইনফোসিস প্রাইজ ২০২২'-এর অনুষ্ঠানে নারায়ণ মূর্তি বলেন, ‘এমনকি আমাদের দেশের আইআইটিগুলিও কোচিং ক্লাসের অত্যাচারের শিকার হচ্ছে।’ তাঁর বক্তব্যে তিনি তুলে ধরেন ভারতের বিজ্ঞান গবেষণার প্রসঙ্গ। লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিতে অধ্যাপক গগনদীপ কাং সহ একাধিক জনের ফেলোশিপ নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। শুভেচ্ছা জানান অধ্যাপক তথা বিশিষ্ট পদার্থবিদ অশোক সেনকে। যিনি সদ্য মিলেনিয়াম প্রাইজ জিতেছেন। নারায়ণ মূর্তি বলছেন, ভারতীয় বিজ্ঞান বেশ কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে, যদিও দেশ করোনার মতো ভ্যাকসিন বানিয়ে ফেলেছে, তিনি বলছেন, ‘এখনও আমাদের ডেঙ্গি ও চিকুনগুনিয়ার মতো রোগের ভ্যাকসিন বানাতে হবে। যা আমাদের গত ৭০ বছর ধরে সমস্যায় ফেলছে। ’ তাঁর মতে বিশ্বে এই মুহূর্তে বহু প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে ভারতের বিজ্ঞান সমাজ পিছিয়ে পড়ছে। আর তার কারণ হিসাবে তিনি তুলে ধরছেন ছোট বয়সে কৌতূহলের অভাব।
নারায়ণ মূর্তি বলছেন, দেশের অর্থনীতির উন্নতি নির্ভর করে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত গবেষণার নিরিখে। সেই জায়গা থেকে দেশকে আরও এগোতে হবে। এছাড়াও তিনি তুলে ধরেছেন গামিবিয়ায় শিশু মৃত্যু প্রসঙ্গ। নারায়ণ মূরতি বলেন, ভারতের নির্মিত কাফ সিরাপ খেয়ে গামিবিয়ায় শিশুদের মৃত্যু হয়েছে, এটি লজ্জাজনক ঘটনা। উল্লেখ্য, সদ্য গামিবিয়ার প্রশাসনিক স্তরে জানানো হয়েছে ওই ৬৬ জন শিশুর মৃত্যু ভারত নির্মিত কাফ সিরাপ খেয়েই হয়েছে কি না, তা নিয়ে তারা নিশ্চিত নয়।