ঘটনা গত ২৬ অক্টোবর রাতের। সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজ সদ্য প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগ, কুখ্যাত বমবিহা গ্যাং দিল্লির এক ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে গুলি চালায়। এই তাণ্ডবের আগে, ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৫ কোটি টাকা দাবি করে বমবিমা গ্যাং। তারপরই গুলি চালনা। গোটা ঘটনার হাড়হিম করা ফুটেজ সামনে এসেছে।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, বাইকে একজন, আরেকজন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। দুজনের মাথাতেই হেলমেট। এরপর ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে এসে একজন, যে হাঁটছিল, সে কিছু একটা ছুড়ে দিল। তারপর বের হল বন্দুক। এক হাতে বন্দুক, অন্য হাতে মোবাইল। সম্ভবত মোবাইলে কিছু একটা দেখেই তারপপর সেই ব্যক্তি পর পর গুলি চালাতে থাকে। তাক করে ব্যবসায়ীর বাড়ির দিকে। গোটা ঘটনা নিয়ে, চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজধানীতে। গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে প্রকাশ্যে।
ইতিমধ্যেই ঘটনায় বমবিহা গ্যাংয়ের ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই জনই জানিয়েছে, তাদের বাড়ি উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরে। তারা ঘটনার দিন রাত ৮ টা নাগাদ দিল্লির রানিবাগের ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে এই গুলি চালায়। ধৃতরা বলছে, আমেরিকা থেকে ওই গুলি চালনার নির্দেশ এসেছিল। নির্দেশ দিয়েছিল পবন শৌকিন। একাধিক অপরাধের জেরে দেশ ছেড়ে আমেরিকা পালায় পবন। ধৃতরা বলছে, স্রেফ তোলাবাজির উদ্দেশেই ওই গুলি চালনা।
৪ রাজ্যের ১০০ সদস্য… বমবিহা গ্যাং কীভাবে তৈরি হল?
দিল্লির ওই ব্যবসায়ীর থেকে ‘প্রোটেকশনের টাকা’ হিসাবে ১৫ কোটি তোলাবাজির দাবি করেছে বমবিহা গ্যাং। তদন্তকারীরা জানতে পারছে, বমবিহা সিন্ডিকেট আমোরিকা থেকে নির্দেশ পেলেও, ভারতে এর মাথা কুশল চৌধুরী। জনৈক অমিত দাগারের সঙ্গে সে হরিয়ানা ও গুরগাঁও এলাকায় তাণ্ডব চালায়। জেলবন্দি গ্যাংস্টার নীরজ বাওয়ানাও এর সদস্য। বাওয়ানা ও নবীন বালি মূলত, দিল্লি এলাকায় নজর রাখে। গ্যাংয়ের স্টার ভুপ্পি রানা নজর রাখে যমুনানগর ও চণ্ডীগড় এলাকায়। পঞ্জাবের বাকি এলাকায় কাজ করে সুখপ্রীত বুদ্দার সাঙ্গপাঙ্গরা। গ্যাংয়ের বিদেশের সদস্য বলতে বারবার অর্শদীপ সিং গিলের নাম উঠে আসছে। সে দেশের বাইরে কানাডা থেকে অপারেশনস চালায়। বমবিহা গ্যাংয়ের কিংপিন দেবীন্দর বমবিহা গুলি বিদ্ধ হয়ে মারা যায় ২০১৬ সালে। দাবীন্দরকে চৌধুরী ও অমিত দাগার গুরগাঁওতে আশ্রয় দেয়। তখন থেকেই এই বমবিহা গ্যাংয়ের বীজ বপন শুরু। পুলিশের কাছে খবর রয়েছে, উত্তর পূর্ব দিল্লিতে বিভিন্ন ছোট ছোট গ্যাংয়ের সদস্যরা বমবিহার সঙ্গে সংযোগ বাড়াচ্ছে। বমবিহাদের সঙ্গে বিষ্ণোইদের সংঘাত বহু দিনের। ২০২২ সালে কাবাড্ডি খেলোয়ার সুন্দীপ আম্বিয়াকে খুন করে বমবিহা গ্যাংয়। পাল্টা তার প্রতিশোধে ২০২২ সালের মে মাসে সিধু মুসেওয়ালাকে খুন করে বিষ্ণোই গ্যাং। সেই সিধু মুসেওয়ালা, যিনি লিখেছিলেন,'বমবিহা বোলে' গানটি।