আদিবাসীদের তীব্র প্রতিবাদ। পার-তাপি-নর্মদা নদীর মধ্যে সংযোগকারী প্রজেক্ট থেকে সরে এল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার গুজরাত বিধানসভায় এব্যাপারে ঘোষণা করেন সেচমন্ত্রী ঋষিকেশ প্যাটেল। এদিকে রাজ্যের সেচমন্ত্রীর এই বার্তায় স্বস্তি পেয়েছেন হাজার হাজার আদিবাসী। মূলত এই প্রকল্পের জেরে প্রচুর আদিবাসী মানুষকে ঘরছাড়া হতে হত। আর এরপরই প্রকল্প বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল গুজরাতে। এদিকে রোশন শারোলিয়া নামে এক আন্দোলনকারী জানিয়েছেন, এটা একটা গণআন্দোলন। সেকারণে এই আন্দোলন থেকে জয়ের কৃতিত্ব কোনও বিশেষ একজনের নয়। এই প্রকল্প রূপায়িত হলে অন্তত ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতেন।
তবে শারোলিয়া জানিয়েছেন, প্রজেক্টটি পুরোপুরি বাতিল না করলে আন্দোলন চলবে। শুধু প্রকল্প স্থগিত করলে হবে না। আগামী ১লা এপ্রিল প্রায় ২০ হাজার মানুষ এনিয়ে মিছিল করবেন। প্রসঙ্গত ২০১০ সাল থেকেই এনিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন আদিবাসীরা। প্রকল্পটির প্রস্তাব রাখার সময় থেকেই আন্দোলন শুরু হয়েছিল। এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বাজেটে এই প্রকল্পের কথা উল্লেখ করার পরেই এনিয়ে নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। শারোলিয়া জানিয়েছেন, আমরা স্থানীয় স্তরেও সংগঠন তৈরি করেছিলাম। গুজরাতে সব মিলিয়ে ৬টি বাঁধ তৈরির প্রস্তাব রাখা হয়েছে। আমরা বাঁধ ভিত্তিক সংগঠন তৈরি করেছি।এখানে নেতার কোনও স্থান নেই। সবটাই গণ আন্দোলন।