সম্প্রতি হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোট ভালো ফল করতে পারেনি। তাতে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের দায়িত্ব নিতে তিনি প্রস্তুত বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোটের দায়িত্ব সামলাতে তিনি প্রস্তুত। তারপরেই ইন্ডিয়া জোটের একের পর এক নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী করার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। আর এবার এ নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন আরজেডি নেতা তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব।
আরও পড়ুন: মমতা কি INDIA ব্লককে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য? 'অধিকার' নিয় বড় কথা বললেন শরদ পাওয়ার
সংবাদ মাধ্যমের সামনে লালু প্রসাদ বলেছেন, ‘আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোটের নেত্রী করা উচিত। আর তাতে কংগ্রেসের আপত্তির কোনও মানে নেই।’ একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, ২০২৫ সালে বিহারে আরজেডি আবার সরকার গঠন করবে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইন্ডিয়া জোটের নেতা করার লালু যাদবের দাবি যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লোকসভা নির্বাচনের আগে লালু যাদব এবং রাহুলের মধ্যে ভাল সম্পর্ক দেখা গিয়েছিল। নিজের হাতে রাহুল গান্ধীকে মাটন খাওয়াতে দেখা গিয়েছিল। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, যে শুধুমাত্র কংগ্রেস তাতে আপত্তি জানালে হবে না। জোটের উন্নয়নের জন্য নেতৃত্বের পরিবর্তন প্রয়োজন এবং এতে দোষের কিছু নেই।
এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোটের নেত্রী করার পক্ষে সমর্থন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটের নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। তিনি এদেশের একজন বিশিষ্ট নেত্রী। তাঁর সেই ক্ষমতা আছে। সংসদে তাঁদের নির্বাচিত নেতারা দায়িত্বশীল, বিবেকবান ও সচেতন মানুষ। তাই তাদের বলার অধিকার আছে।বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও বলেছিলেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা ইন্ডিয়া জোটের কোনও সিনিয়র নেতাকে জোটের নেতৃত্ব দিলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তবে তিনি জোর দিয়েছিলেন যে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সকলকে ঐক্যমতে পৌঁছতে হবে। জগন রেড্ডির ওয়াইএসআরসিপি-ও দিদিকে সমর্থন করেছেন ইন্ডিয়ার সম্ভাব্য মুখ হিসেবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব এবং সমন্বয় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছি। এখন এটি চালানোর জন্য যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যদি তারা জোট ঠিকমতো চালাতে না পারে তাহলে আমি কি করতে পারি? আমি শুধু বলব সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা দরকার।’যদিও বিহারের কংগ্রেস সভাপতি অখিলেশ প্রসাদ সিং বলেছিলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল বাংলায় সীমাবদ্ধ এবং জাতীয় পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল এবং তাঁর ব্যক্তিত্ব তত বড় নয়।