কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষক বিক্ষোভের জেরে এবার এনডিএ-র হাত ছাড়ল রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টিও (আরএলপি)। এর আগে একই কারণে জোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিরোমণি অকালি দল।
শনিবার আলওয়ারের শাহজাহানপুরে দলীয় জনসভায় আরএলপি প্রধান হনুমান বেনিওয়াল ঘোষণা করেন, ‘বাই বাই। আমরা এনডিএ ছাড়লাম। দেশের কৃষকদের মর্যাদার চেয়ে কোনও কিছুই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না।’
প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপি মুখপাত্র মুকেশ পারেখ বলেন, আরএলপি আসলে নির্দল এবং এক ব্যক্তি কেন্দ্রিক। শুধুমাত্র বেনিওয়ালের স্বার্থেই বিজেপি নাগাউরের লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী না দিয়ে তাঁকে জেতার সুযোগ করে দিয়েছিল বলেও দাবি করেন পারেখ। তাঁর অভিযোগ, প্রথমে কৃষি আইন সমর্থন করে এখন রাজনৈতিক ফায়দা লুটতেই তার বিরোধিতা করছেন আরএলপি প্রধান।
গত সেপ্টেম্বর মাসে লোকসভায় তিন কৃষি আইন পাশ করানোর প্রতিবাদে এনডিএ জোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিরোমণি অকালি দল।
এ দিন কয়েক হাজার আরএলপি সমর্থক তাজস্থান-হরিয়ানা সীমান্তে শাহজাহানপুরে জয়পুর-দিল্লি জাতীয় সড়কের উপর প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে যোগ দেন। দুপুর তিনটে নাগাদ জয়পুরের কোটপুতলি এলাকায় কয়েকশো গাড়ি নিয়ে তাঁরা পৌঁছন। গত ১৪ দিন ধরে অবস্থানকারী কৃষকদের সমর্থনে তাঁরা আলাদা শিবির গড়ে অবস্থান শুরু করেন।
এ দিনের জনসভায় বেনিওয়াল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারকে আগুন নিয়ে না খেলার অনুরোধ জানাচ্ছি। যে সরকার এর বিরুদ্ধে গিয়েছে, তারাই সিংহাসনচ্যুত হয়েছে। কেন্দ্রের এই আইনের জেরে কৃষি বাজার অবলুপ্ত হবে। সরকার কেন কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করেনি? েই আইনের কারণে জমি মাফিয়াদের রমরমা বাড়বে। আমি বুঝতে পারছি না, কী কারণে সরকার আইন প্রত্যাহার করছে না?’
বেনিওয়াল বলেন, তিনি চাষির ছেলে। তাই বরাবরই কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের প্রতিবাদ বলপূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে তাঁর অভিযোগ। তাঁর মতে, কৃষকদের এই লড়াই অস্তিত্বের লড়াই। সেই কারণেই তিনি কৃষকদের বিক্ষোভ সমর্থন করছেন বলে জানান আরএলপি নেতা।