বিহারের রাজনীতিতে নয়া মোড়। উপেন্দ্র কুশওয়াহার দল রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি বা আরএলএসপি মিশে গেল নীতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের সঙ্গে। বিহারের রাজনীতিতে এই পরিবর্তনকে বিজেপি ও এনডিএ–এর অন্য শরিকরা বড় করে দেখলেও বিষয়টিকে অন্য চোখে দেখছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তাদের মতে, কুশওয়াহার দলের অনেক নীচুতলার কর্মীরাই এখন লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডির সঙ্গে গিয়েছে। তাই অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালানোর জন্যই জেডিইউয়ের হাত ধরতে হয়েছে কুশওয়াহাকে।
২০১৩ সালে জেডিইউ থেকে বেরিয়ে এসে নিজে দল তৈরি করেন উপেন্দ্র কুশওয়াহা। দীর্ঘ ৭ বছর পর ফের নিজের পুরনো দলে যোগ দেওয়ার কথা নিজের মুখেই জানান তিনি। কুশওয়াহার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। দলে তাকে স্বাগত জানিয়েই নীতীশ বলেন, ‘কুশওয়াহা খুবই বড় নেতা। আগেও আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। এখনও বিহারের উন্নয়নের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করব। তাই কুশওয়াহাকে জেডিইউয়ের জাতীয় সংসদীয় বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করা হল।’
এদিকে পুরনো দলে যোগ দিয়েই কুশওয়াহা বলেন, ‘বিহারের মানুষের রায় থেকেই স্পষ্ট, আমার ও নীতীশজির একসঙ্গে কাজ করা উচিত। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটা প্রয়োজন। এতে আমার বা নীতীশজির সুবিধার থেকেও বিহারের মানুষ লাভবান হবে।’ দলের এই নয়া পরিবর্তনে যথেষ্টই উজ্জীবিত নীতীশ কুমারের দলের কর্মী সমর্থকরা্। কুশওয়াহা ও কুর্মি মিলে বিহারের জনসংখ্যার প্রায় ১২ শতাংশ্। দুই দল একত্রিত হওয়া্য আখেরে ভোটব্যাঙ্কে নীতীশ কুমারের লাভ হবে বলে মনে করছেন জেডিইউ কর্মী–সমর্থকরা।
অন্যদিকে এ এন সিনহা ইনস্টিটিউট ফর সোশ্যাল সায়েন্সের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ডি এম দিবাকর জানান, ‘আসলে কুশওয়াহা সম্প্রদায় দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছে। নীচুতলার কর্মীরা এখন আরজেডির সঙ্গে চলে গিয়েছে। তাই অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এখন নিজের পুরনো দলে ফিরতে বাধ্য হল উপেন্দ্র।’ তবে পাটনা শহর জুড়ে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, ক্ষমতার অলিন্দে থাকতেই এই পদক্ষেপ উপেন্দ্র কুশওয়াহার।