উজ্জ্বয়নীর সাধুদের চাপে পিছু হটল ভারতীয় হল। পালটে গেল রামায়ণ এক্সপ্রেসের ওয়েটারদের পোশাক বিধি। যাঁরা প্রাথমিকভাবে গেরুয়া রঙের পোশাক পরে সেই বিশেষ ট্রেনে খাবার পরিবেশন করতেন।
ভারতীয় রেলের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পেশাদারি পরিষেবা প্রদানকারীদের (ওয়েটার) ধাঁচে রামায়ণ এক্সপ্রেসের ওয়েটারদের পোশাক বিধি পালটে যাচ্ছে। এবার থেকে তাঁরা সাধারণ জামা, প্ল্যান্ট এবং ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি পরবেন। তবে তাঁরা গেরুয়া রঙের মাস্ক এবং গ্লাভস পরেই থাকবেন। সেভাবেই ট্রেনে খাবার দেবেন।
সম্প্রতি উজ্জ্বয়নীর সাধুরা হুমকি দেন, যদি রামায়ণ এক্সপ্রেসের ওয়েটারদের গেরুয়া পোশাক পালটানো না হয়, তাহলে আগামী ১২ ডিসেম্বর দিল্লিতে ট্রেন আটকে দেওয়া হবে। তাঁরা দাবি করেন, ওয়েটারদের পোশাক গেরুয়া রেখে হিন্দু ধর্মকে অপমান করা হচ্ছে। উজ্জ্বয়নী আখাড়া পরিষদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অবদেশপুরী সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, 'রামায়ণ এক্সপ্রেসে গেরুয়া পোশাকে খাবার দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে দু'দিন আগে আমরা রেলমন্ত্রীকে (অশ্বিনী বৈষ্ণব) চিঠি লিখেছি। গেরুয়া পোশাক এবং সাধুদের মতো পাগড়ি ও রুদ্রাক্ষের মালা পরে হিন্দু ধর্মকে অপমান করা হচ্ছে।' সঙ্গে তিনি হুমকি দেন, যদি না ওয়েটারদের পোশাক পালটানো হয়, তাহলে দিল্লির সফদরজং স্টেশনে রামায়ণ এক্সপ্রেস আটকে দেওয়া হবে। সেই হুমকির পরেই পিছু হটেছে ভারতীয় রেল। তড়িঘড়ি বিবৃতি জারি করে পালটে দেওয়া হয়েছে ওয়েটারদের পোশাক বিধি।
উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর দিল্লির সফদরজং স্টেশন থেকে প্রথম রামায়ণ এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হয়েছে। ১৭ দিনে রামের সঙ্গে সম্পর্কিত দেশের ১৫ টি জায়গায় (অযোধ্যা, রামেশ্বরম, চিত্রকূট, প্রয়াগ, জনকপুর, হাম্পির মতো জায়গা) ঘুরবে সেই ট্রেন। প্রায় ৭,৫০০ কিলোমিটার ছুটবে।