গগনযান মিশন। কবে এই মিশন ভারতে ভারতে হবে তা নিয়ে অনেকের আগ্রহ রয়েছে। সূত্রের খবর, ২০২৬ সালের শেষ দিকে এই গগনযান মিশন হবে ভারতে। তবে এই রকেটের একটা মহড়া আগামী বছরের প্রথম দিকে হতে পারে। জানিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ।
এই গগনযান মিশন ভারতের প্রথম হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট। অর্থাৎ এই রকেটে চেপে মানুষ যাবে মহাকাশে। পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিমি দূরত্বে যাবে এই রকেট। তিন দিনের মিশন। এরপর এরপর সেটা ভারত মহাসাগরে নিরাপদে ফিরে আসবে।
এই মিশনের জন্য খরচ হতে পারে প্রায় ৯০ বিলিয়ন। এই মিশন যদি সফল হয় তবে ভারত হবে বিশ্বের চতুর্থ দেশ যারা মহাকাশে মানুষ প্রেরণ করবে। এর আগে সোভিয়েত ইউনিয়ন, আমেরিকা ও চিন মহাকাশে মানুষ পাঠিয়েছিল।
আইআইটি গুয়াহাটিতে একটি প্রোগ্রামে যোগদান করতে এসে তিনি বলেন, গত চার বছর ধরে আমরা এই গগনযান প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। আমাদের রকেট প্রায় রেডি। তবে প্রথম মনুষ্যবিহীন রকেটের মহড়া হবে আগামী বছরের প্রথম দিকে। এই বছর ডিসেম্বর মাসের দিকে এই রকেটের মহড়া হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রযুক্তিগত কিছু কারণে এটা শেষ পর্যন্ত করা যায়নি।
তিনি জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের শেষের দিকে আরও তিনটি রকেট লঞ্চ করা হবে। প্রথম উৎক্ষেপনের সময় আমরা রকেটের মধ্যে একটা রোবট রেখে দেব। ওর নাম ব্যোমমিত্র। আরও দুটি রকেটও ছাড়া হবে। তিনটি রকেট সফল হওয়ার পরে তারপর মানুষ সহ রকেট ছাড়া হবে। সমস্ত মহাকাশচারীরাও তৈরি। আমাদের লক্ষ্য ২০২৬ সালের শেষ দিকে এই গগনযান ছাড়া হবে।
এর আগে এস সোমনাথ জানিয়েছিলেন, ভারতীয় মহাকাশচারী আইএসএস-এ পৌঁছোনোর পর, তাঁর উদ্দেশ্য শুধুমাত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না বরং নতুন কিছু শেখার সম্পূর্ণ দায়িত্বও থাকে তাঁর উপর। তিনি আরও বলেছেন, আইএসএস-এ গগনযাত্রীর উড়ে যাওয়া, আমাদের বুঝতে সাহায্য করবে কীভাবে ভারতের নিজস্ব গগনযানের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
ইসরো আরও বলেছে যে যখন মহাকাশচারীরা মহাকাশে ফ্লাইটের অভিজ্ঞতা লাভ করবেন, তখনই আমরা শিখতে পারব যে তাঁরা কীভাবে মিশনটি পরিচালনা করবেন এবং কীভাবে মহাকাশযানটি আইএসএস-এ সঙ্গে সংযুক্ত হবে। ইতিমধ্যে সেখানে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক ক্রুদের সঙ্গে কাজ করা আমাদের কিছু মূল্যবান জিনিস শেখাবে। এই মিশনের প্রধান নভোচারীকেও মিশন পরিচালনা করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।