বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্তের ২৭০ কিমি সীমান্ত। সেই সীমান্তের পুরো অংশটাই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করা হচ্ছে। দুই দেশের মিডিয়াতেই এই খবর হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিবিসির কথা উল্লেখ করে কালেরকণ্ঠ সংবাদমাধ্যমেও তেমনটা দাবি করা হয়েছে।
এদিকে বলা হচ্ছে রবিবার সকালে মংড়ু শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে আরাকান আর্মি। কয়েকমাস ধরে মায়ানমারের জুন্তার সঙ্গে লড়াই চলছে তাদের।
এদিকে ওই সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে হামলার মুখে পড়ে রোহিঙ্গা সংগঠনের একাধিক নেতা অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। পরে তাদের আটকও করেছিল পুলিশ। তবে এসবের মধ্যেই একটা নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। সেটা হল এবার বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়তে পারে। সেটা নিয়ে একটা নতুন আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। কক্সবাজার স্থানীয় প্রশাসনও এনিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
কক্সবাজারের টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে বাংলাদেশ বর্ডার যাতে কেউ ক্রশ না করে। কোনও অবস্থাতেই যাতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ না ঘটে সেদিক বিবেচনায় টহল জোরদার করেছি। খবর কালেরকণ্ঠের প্রতিবেদন অনুসারে।
একদিকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্রমেই অবনতি হচ্ছে বাংলাদেশে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের একের পর এক অভিযোগ বাংলাদেশের একাংশের বিরুদ্ধে।ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কেরও অবনতি হয়েছে কিছুটা। সেই পরিস্থিতিতে এবার বাংলাদেশের সামনে অপর এক সংকট, সেটা হল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা। সেই সঙ্গে মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যেও প্রভাব পড়তে পারে।
কিন্তু কেন বাংলাদেশের রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়তে পারে? কেন রোহিঙ্গারা সংকটে পড়ল মায়ানমারে?
আসলে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জুন্তা বাহিনীর পক্ষে ছিল রোহিঙ্গারা। আর এবার আরাকান আর্মি যেহেতু কিছুটা ভালো অবস্থায় রয়েছে আর কোণঠাসা হচ্ছে জুন্তা সেকারণে পায়ের তলা থেকে মাটি সরবে রোহিঙ্গাদেরও। রোহিঙ্গাদের যে সমস্ত সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছে তারা এবার ঢুকে পড়তে পারে বাংলাদেশে। আশঙ্কা এমনটাই।
অন্যদিকে ভারত-মায়ানমার সীমান্তের সবথেকে বেশি এলাকা অরুণাচলপ্রদেশেরই অন্তর্গত। সব মিলিয়ে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫২০ কিলোমিটার। এছাড়া, মিজোরাম, মণিপুর এবং নাগাল্যান্ডে এই সীমান্তের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে - ৫১০ কিলোমিটার, ৩৯৮ কিলোমিটার এবং ২১৫ কিলোমিটার।
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জাতিদাঙ্গায় বিধ্বস্ত হয়ে আছে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমার। যার জেরে অন্তত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে নানা মহলের তরফে দাবি করা হয়। তবে রোহিঙ্গা আটকাতে ভারত অত্যন্ত শক্তিশালী পদক্ষেপ নিয়েছে বলে খবর।