সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নিয়ে বাংলাদেশে চর্চার অন্ত নেই। এই ছোট্ট প্রবাল দ্বীপ নিয়ে একটা সময়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ করেছিলেন শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে এই প্রবাল দ্বীপে বাংলাদেশিদের যেতে রেজিস্ট্রেশন লাগবে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। যা নিয়ে ছড়িয়েছিল বিভ্রান্তি। আর বর্তমানে প্রতিবেশী মায়ানমারের গৃহযুদ্ধের প্রভাব পড়েছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মংডু শহর দখল করেছে মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী 'আরাকান আর্মি'। এর জেরে নাফ নদীতে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সীমান্তের ওপার থেকে উড়ে এসেছে বোমা-গুলির আওয়াজ। এমনকী বিগত কয়েক মাসে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী জাহাজে গুলিও লেগেছে বলে অভিযোগ। তবে তাতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। (আরও পড়ুন: ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কতটা জানেন? কী হাল পাকিস্তানের?)
আরও পড়ুন: হাতছাড়া হবে ফেনি? কলকাতা দখলের ডাক দেওয়া বাংলাদেশ এখন নিজেই আতঙ্কে কাঁপছে!
তবে আপাতত নাফ নদী দিয়ে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকলেও সমুদ্রপথে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাওয়া যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে স্থায়ী ভাবে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার মানুষের বাস। এই বাসিন্দাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস যায় টেকনাফ থেকে। কোনও কারণে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকলে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে খাদ্যপণ্যের সংকট দেখা দেয়। টেকনাফসহ বাংলাদেশ লাগোয়া পুরো সীমান্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ এখন আরাকান আর্মির হাতে। এই আবহে নাফ নদী দিয়ে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সমুদ্রপথে যাতায়ত করা যাচ্ছে। তবে পাঁচ দিন ধরে নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্ট মার্টিনে খাদ্যসামগ্রীর মজুত কমে গিয়েছে। (আরও পড়ুন: বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাংলাদেশিদের খোঁজ পুলিশের! একদিনেই চিহ্নিত ২০ অনুপ্রবেশকারী)
এদিকে গত ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৩৩টি শিবিরে মোট ১২ লাখ রোহিঙ্গার বাস বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা রাখাইন প্রদেশে থাকে। তবে অভিযোগ, মংডু শহর দখলের পর থেকেই রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার শুরু করেছে আরাকান আর্মির সদস্যরা। যদিও মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে এরই মধ্যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এর আগে রোহিঙ্গারা কক্সবাজার এলাকার বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে। তাদের 'দখলদারির' জেরে কক্সবাজারের পরিবেশ দূষণ এবং অপরাধ বেড়েছে বলে অভিযোগ। এই আবহে আরও বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকলে তা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে মহম্মদ ইউনুসের জন্যে। এই আবহে বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।