কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে লাখ রোহিঙ্গার ইফতারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস এবং রাষ্ট্রসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস। সেই ইফতারি অনুষ্ঠানেই নাকি পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক রোহিঙ্গার। এমনই দাবি করা হয়েছে প্রথম আলোর রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, মৃত সেই রোহিঙ্গার নাম নেয়ামতউল্লাহ, বয়স ৫০ বছর। (আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে ঘৃণা করার অভিযোগে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করল USA)
আরও পড়ুন: বিদেশের মাটি থেকে ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে 'গোপন অভিসন্ধি' বাংলাদেশি দূতের?
যদিও বাংলাদেশি সরকারের দাবি, পদপিষ্ট হওয়ার কোনও ঘটনাই ঘটেনি। তীব্র গরমে এত লোকের জমায়েতের কারণেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় সেই রহিঙ্গার। এদিকে এই ঘটনায় আরও দুই রোহিঙ্গা গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। সরকারের দাবি, তীব্র গরম এবং রোজা রাখার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এই রোহিঙ্গারা। তাদের হিটস্ট্রোক হয়। এদিকে ইফতারি অনুষ্ঠানে বহু রোহিঙ্গার হাতে প্ল্যাকার্ড ছিল। সেখানে তারা দেশে ফেরার দাবিতে বিভিন্ন বার্তা লিখে রেখেছিলেন। তবে এই অনুষ্ঠানে কোনও অব্যবস্থার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। যদিও অভিযোগ উঠছে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগেছিল বলেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। (আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ, কলম্বিয়ার ভারতীয় স্কলারের ভিসা বাতিল USA-র)
আরও পড়ুন: হোলিতে ছড়াল হিংসা, ছোড়া হল পাথর, বাইক-দোকানে আগুন, জখম বেশ কয়েকজন
এদিকে শুক্রবার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেন গুতেরেস। এরপর তিনি জানান, আশ্রয় শিবিরের পরিবেশ আরও ভালো ও উন্নত হওয়া দরকার। এই নিয়ে দাবি জানিয়েছেন অনেক রোহিঙ্গা। এই দাবি তাঁর ন্যায্য বলেই মনে হয়েছে বলে জানান গুতেরেস। এদিকে আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলি রোহিঙ্গা শিবিরের জন্যে আর্থিক সাহায্য কমিয়ে দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন গুতেরেস। তাঁর কথায়, 'মানবজাতির সকল সম্প্রদায়েরই ভালোভাবে বেঁচে থাকার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রতি বাকি বিশ্বের একাংশের এই আচরণ অপরাধ। আমাদের পক্ষে যতটা সম্ভব, আমরা তা করব। রোহিঙ্গা শিবিরগুলিতে রেশন-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে রাষ্ট্রসংঘ।' (আরও পড়ুন: হোলির উপহার! রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা এই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন বাড়ল)
আরও পড়ুন: রাজ্য সভাপতি নিয়ে জল্পনার মাঝে ১৭ জেলার সভাপতি বদল BJP-র, পদ গেল একাধিক MLA-র
এদিকে পরের ইদে যেন রোহিঙ্গারা মায়ানমারে নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেন, সেজন্য নিজের প্রচেষ্টার কথা রোহিঙ্গাদের সামনে তুলে ধরেছেন ইউনুস। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাতেই রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে সম্বোধন করেন। তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রসংঘের প্রধান নিজে আপনাদের দেশে ফেরানোর দায়িত্ব নিয়েছেন। এত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। কাজটা যেন দ্রুত হয়, তার জন্যে আমিও রাষ্ট্রসংঘের প্রধানকে মনে করিয়ে দেব। রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোই এই সংকটের একমাত্র সমাধান।'