কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ‘ভুল উদ্ধৃত’ করার ঘটনায় অভিযুক্ত টিভি উপস্থাপক রোহিত রঞ্জনের বিরুদ্ধে ‘গ্রেফতারি বা কোনও জবরদস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার’ নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রোহিতের আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস এবং উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের সরকারকে নোটিশ জারি করেছে।
অভিযোগ, রাহুল গান্ধীর ওয়ানাডের অফিসে হামলার প্রেক্ষিতে দেওয়া বয়ানকে ভুল করে উদয়পুর কাণ্ডের প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রচার করা হয় জিটিভিতে। এই ঘটনায় রায়পুর সিভিল লাইন্সে রোহিত রঞ্জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা বৃদ্ধির অভিযোগে তাই গাজিয়াবাদে সাংবাদিক রোহিত রঞ্জনকে গ্রেপ্তার করতে আসে ছত্তিশগড় পুলিশ। তবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ রোহিত রঞ্জনের গ্রেপ্তারি আটকে দেয়।
দেবেন্দ্র যাদব নামক এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোহিত রঞ্জনের বিরুদ্ধে ধারা ১৫৩ (ধর্ম, জাতি, স্থান ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা), ধারা ২৯৫ (যে কোনও শ্রেণির ধর্মকে অবমাননা করার উদ্দেশ্যে উপাসনাস্থলকে আঘাত করা বা অপবিত্র করা), ধারা ৫০৪ সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে। ধারা ৫০৫ (২০) (জনসাধারণের মধ্যে অস্থিরতা তৈরির উদ্দেশে বিবৃতি) , ধারা ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ধারা ৪৬৭, ধারা ৪৬৯ এবং ধারা ৪৭১-এ মামলা রুজু হয় রোহিতের বিরুদ্ধে। রায়পুর পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি দল গঠন করে এবং দ্রুত গাজিয়াবাদে চলে যায়। এই আবহে গোটা বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রোহিত রঞ্জন। তাতে সাময়িক স্বস্তি পেলেন এই সাবাদিক।