চরমপন্থীদের হঠাতে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার একসঙ্গে কাজ করা দরকার। জানিয়ে দিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।মঙ্গলবার ইন্ডিয়া ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই এনিয়ে মতামত দেন অজিত দোভাল।
ভারত ও ইন্দোনেশিয়াতে পারস্পরিক শান্তি , বিশ্বাস ও মৈত্রী তৈরির জন্য় উলেমাদের ভূমিকা নিয়েও তিনি মুখ খোলেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে ঘৃণাভরা ভাষণ, হিংসা, সংঘাত, ধর্মকে সংকীর্ণ অর্থে অপব্যবহার করার কোনও জায়গা নেই। এক্ষেত্রে উলেমাদের একটা বড় ভূমিকা আছে। তাঁরা মানুষকে সহনশীলতার শিক্ষা দিতে পারেন। প্রগতিশীল ভাবনার মাধ্যমে চরমপন্থী মনোভাবকে দূর করার ক্ষেত্রে তাঁরা বড় ভূমিকা নিতে পারেন।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল বলেন, আমাদের যুব সম্প্রদায়ের এনিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। তাদের চরমপন্থী মনোভাবের প্রাথমিক টার্গেট করা হয়। কিন্তু তাদের শক্তিকে যদি সঠিক দিকে ব্যবহার করা হয় তবে তাঁরা কোনও সমাজের উন্নতিতে মুখ্য ভূমিকা নিতে পারেন।
দিনভর এই কনফারেন্সে উলেমারাও অংশ নিয়েছেন। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল বলেন, ভিন্ন ধর্মের মানুষের পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ক্ষেত্রে যারা বাধা দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার।নানা গোষ্ঠীতে বিভক্ত ইসলামিক সংগঠন। চরমপন্থী ভাবনার নিরিখে একে অপরকে ছাপিয়ে যেতে চাইছে। ভারত ও ইন্দোনেশিয়া দুই দেশই সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শিকার হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ, আইসিস প্রভাবিত জঙ্গিবাদের চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তোরণ ঘটানোর কথাও বলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। আইসিস প্রভাবিত জঙ্গি, সিরিয়া-আফগানিস্তান ফেরৎ সন্ত্রাসবাদীদের রুখে দেওয়ার জন্য সিভিল সোসাইটির মধ্যে সমণ্বয়ের দরকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি।