কালীপুজোর দিন নারীশক্তিকে কুর্নিশ প্রধানমন্ত্রীর। বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের নৌসেরা সেক্টরে সেনা শিবিরে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দীপাবলিতে বরাবরই সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে সময় কাটান প্রধানমন্ত্রী। সেই মতো এবছরও নৌসেরায় সেনা ঘাঁটিতে যান মোদী। সেখানে তিনি কর্তব্যনিষ্ঠাবান জওয়ানদের কুর্নিশ জানান। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা খাতে নারীদের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন নারীশক্তির উত্থানের বিষয়টি তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নারীদের ভূমিকা নতুন উচ্চতায় ছুঁয়ে চলেছে। সেনাবাহিনীতে এখন নারীদের স্থায়ী কমিশন দেওয়া হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ সামরিক প্রতিষ্ঠানের দরজাও এখন মহিলাদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।' প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, 'আমি এখানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, আপনাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে দীপাবলি উদযাপন করতে এসেছি।'
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশের আত্মনির্ভরতার বার্তা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, 'প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত এখনও আত্মনির্ভর। অর্জুন ট্যাঙ্ক থেকে তেজস বিমান এখন দেশে তৈরি হচ্ছে। আগে আমাদের কোনও সরঞ্জাম বা কিছু খারাপ হলে অন্য দেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হত। তবে এখন আর এটা করতে হয় না। আমাদের আত্মবিশ্বাস আত্মনির্ভরতায় পরিণত হয়েছে। এর আগে নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে বহু বছর লেগে যেত। প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতার প্রতিশ্রুতিই পুরানো পদ্ধতি পরিবর্তনের একমাত্র উপায়।'
জওয়ানদের উদ্দেশে মোদী আরও বলেন, 'আমি প্রতিটি দীপাবলি সীমান্ত পাহারা দেওয়া সৈন্যদের সাথে কাটিয়েছি। আজ, আমি আমার সাথে এখানে আমাদের সৈন্যদের জন্য কোটি কোটি ভারতীয়ের আশীর্বাদ নিয়ে এসেছি। আমাদের সৈন্যরা 'মা ভারতীর' 'সুরক্ষা কবচ'। আপনাদের কারণেই আমাদের দেশের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারে এবং উৎসবে আনন্দ থাকে। জঙ্গিদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন জওয়ানরা। জওয়ানদের জন্য সমগ্র দেশবাসী দ্বীপ জ্বালাবে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সময় এই ব্রিগেড যে ভূমিকা পালন করেছিল তা প্রত্যেক ভারতীয়কে গর্বিত করে।'