ভারত বায়োটেক-এর রোটাভাইরাস ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা প্রত্যাখ্যান করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ডায়রিয়া প্রতিরোধে শিশুদের দেওয়া রোটাভ্যাক ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য আলাদা তারিখ প্রকাশের এই পিআইএল দায়ের করেছিলেন এস শ্রীনিবাসন। ২০১৬ সালে দাঁড়িয়ে আদালতের কাছে, ২০১১-২০১৩ সালের মধ্যে রোটাভ্যাক ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের তথ্য প্রকাশের দাবি জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: (Nitin Gadkari: চারধামে ভারত-চিন সংযোগের রাস্তাটি কতটা চওড়া হবে, জানিয়ে দিল কেন্দ্র)
দিল্লি, পুনে এবং ভেলোরে ৬,৭৯৯ জন শিশুর উপর চালানো রোটাভ্যাক ক্লিনিকাল ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপ সম্পর্কে বিশদ স্বচ্ছতা চাওয়া হয়েছিল পিটিশনে। এই ভ্যাকসিনের সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন শ্রীনিবাসন। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে জনস্বার্থের জন্য খুঁটিনাটিভাবে এই ডেটা প্রকাশ করার প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষ ট্রায়ালের ফলাফল কোনও ভাবেই গোপন রাখতে পারে না বলে দাবি করা হয়েছিল।
আবেদনকারীর পক্ষে উপস্থিত অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে যেহেতু ক্লিনিকাল ট্রায়াল ডেটা ইতিমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে, তাহলে এটি প্রকাশে বাধা কী? তিনি আরও বলেছিলেন যে ২০১৫ সালের হেলসিঙ্কি নির্দেশিকা এবং ২০১৭ সালের বায়োএথিক্স কমিটি এবং আইসিএমআর নির্দেশিকা অনুযায়ী ট্রায়াল ডেটা সাধারণ মানুষের কাছে প্রকাশ করা উচিত।
আরও পড়ুন: (Deaths While Cleaning Sewers: গত দশ বছরে নর্মদা সাফ করতে গিয়ে কতজন মারা গিয়েছেন, সংসদে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার)
কিন্তু বিচারপতি বিআর গাভাই এবং কেভি বিশ্বনাথনের একটি ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে যে আদালত টিকাদান সংক্রান্ত ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপের বিশেষজ্ঞ কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে না। বেঞ্চ বিশেষজ্ঞ সংস্থার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষেত্রে আদালতের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, আমরা কীভাবে বিশেষজ্ঞ কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারি? আমরা ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে বসব না।
খ্রিস্টান মেডিকেল কলেজ, ভেলোরের ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলি পরিচালনা করেছিল। তখন সিনিয়র অ্যাডভোকেট দেবদত্ত কামাথ, খ্রিস্টান মেডিকেল কলেজের পক্ষে উপস্থিত হয়ে এই আবেদনের বিরোধিতা করে বলেছেন যে এটি যথাযথ গবেষণা ছাড়াই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। শীর্ষ আদালত পিটিশনটিকে অসম্পূর্ণ বলে সমালোচনা করে যুক্তি দিয়েছে যে পিআইএল দায়ের করার আগে আবেদনকারী পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখেও নেননি।
পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করে, ভারত বায়োটেকও বলেছে যে আবেদনকারী আদালতের সামনে সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এসসি এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে, ২০১৬ সালের রিট পিটিশন (সিভিল) নং ২৮৯ খারিজ করে দিয়েছে। সংস্থাটি আরও উল্লেখ করেছে যে সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই জ্যাকব পুলিয়েল বনাম ইউনিয়নের ইস্যুতেও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সম্পর্কিত ক্লিনিকাল ট্রায়াল ডেটা প্রকাশ করার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।