শীতের মরসুমে কি এবার সিকিম যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে? রবিবার থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে উত্তর সিকিমের রাস্তা। পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে এই রাস্তা। বিপর্যয়ের জেরে বন্ধ ছিল এই রাস্তা।
লোনার্ক হ্রদ বিপর্যয়ের পরে উত্তর সিকিম যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। রবিবার ফের টুং নাগা রুট খুলে দেওয়া হবে। শুক্রবার সিকিমের পর্যটনমন্ত্রী থেন্দুপ ভুটিয়া এই রুটের উদ্বোধন করেছিলেন।
সিকিমের লোনার্ক হ্রদ বিপর্যয়ের জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মূলত বিরাট প্রভাব পড়েছিল মঙ্গন জেলায়। কার্যত মূল ভূখন্ডের থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল এই জায়গাটি। সেই সময় হেলিকপ্টারে করে কোনওরকমে পর্যটকদের উদ্ধার করা হয়েছিল।
তবে ফের পর্যটকদের জন্য মঙ্গন জেলা খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে মঙ্গন জেলা খুলে দেওয়ার আগে সেখানকার জেলা প্রশাসনের তরফে কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মূলত পর্যটকরা মঙ্গনের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট অফিস থেকে ভ্রমণের একদিন আগে অথবা যেদিন বেড়াতে যাবেন সেদিন সকাল সাড়ে ৯টার মধ্য়ে পাস সংগ্রহ করতে হবে। পর্যটকদের বিশেষ ধরনের এসইউভি গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। গোটা বিষয়টি জানতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাখুন।
এই রাস্তা দিয়েই চুংথাং, লাচেন, লাচুংয়ের মতো অত্যন্ত আকর্ষণীয় জায়গাগুলিতে যেতে হয়। তবে ১লা ডিসেম্বর থেকে রাস্তা খুললেও একাধিক বিধিনিষেধ জারি করা থাকছে। এই রাস্তা সংস্কারের কাজে কোনওভাবে ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না। যানজট এড়াতে কড়া ব্য়বস্থা নিচ্ছে সেখানকার জেলা প্রশাসন। মঙ্গন থেকে চুংথাং যাওয়ার রাস্তায় কেবলমাত্র হালকা যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সকাল ১০টার মধ্য়ে যানবাহনগুলিকে এই মঙ্গন বাজার অতিক্রম করে যেতে হবে।
এদিকে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছিল সিকিমে। তিস্তায় জলস্ফীতির জেরে সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। চুংথাং, মঙ্গন, সিংতাম রংপো, মেল্লি হয়ে তিস্তা আসছে। সিকিম উরজা হাইড্রো পাওয়ারও ভেসে গিয়েছিল। সেই সময় সিকিম উরজা লিমিটেডের সুনীল সারোগি বলেছিলেন,' রাত ১২টার পরে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্য়ে ভেসে গেল চুংথাংয়ের এর বাঁধ। ২০০ মিটার ব্রিজটাও ভেঙে গেল। গোটা পাওয়ার হাউস জলের তলায়।'
তবে ধীরে ধীরে সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে উত্তর সিকিম। মঙ্গনের রাস্তা মেরামতির কাজ অনেকটাই হয়েছে। মঙ্গন থেকে চুংথাং যাওয়ার রাস্তায় এবার হালকা যানবাহন চলতে পারবে। পর্যটকদের কাছে এটা খুশির খবর। যারা একটু অন্যরকমভাবে প্রকৃতিকে দেখতে চান তাঁদের কাছে সিকিমের বিকল্প কিছু নেই।