মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি তথা সেরাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ একিদন আগেই দাবি করেছিলেন যে ২০১৯ সালের হানি ট্র্যাপ কাণ্ডের ভিডিয়ো ক্লিপ তিনি দেখেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর কাছে নাকি সেই ভিডিয়ো ক্লিপগুলি পেনড্রাইভে আছে। কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যের পরই ঝড় উঠেছে রাজ্য রাজনৈতিক আঙিনায়।
এদিন কমল নাথ দাবি করেছিলেন, তিনি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন পুলিশ তাঁকে সিডিতে করে ভিডিয়োগুলো দেখিয়েছিল। আরও বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের কাছেও নাকি এই সিডি রয়েছে। তবে কমল নাথ দাবি করেন, তিনি সিডি রাজীতির মধ্যে ঢুকতে চাননি। তিনি চাননি যাতে রাজ্য এই ঘটনার জন্যে চর্চায় থাকুক।
উল্লেখ্য, এর আগে কংগ্রেস বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উমঙ্গ সিংঘারের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। ৪০ বছর বয়সী এক মহিলার আত্মহত্যাগ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এরপরই কংগ্রেস নেতারা বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে দাবি করেন, কমল নাথের কাছেও হানি ট্র্যাপের ভিডিয়ো আছে। কিন্তু তিনি ভদ্র রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। আর এরপরই সেই ভিডিয়ো কমল নাথ কোথা থেকে পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি।
এদিকে কমল নাথের এই মন্তব্যের পর এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভিডি শর্মা বলেন, 'কমল নাথ রাজ্য সরকারকে ব্ল্যাকমেল করছে। প্রথমে তাঁকে বলতে হবে যে তিনি কোথা থেকে এই পেনড্রাইভটা পেয়েছেন। তিনি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি সরকারি সংস্থার অপব্যবহার করে এই পেনড্রাইভ হাসিল করেছেন। যদি তাঁর কাছে কোনও রাজনীতিবিদ বা কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ থেকে থাকে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে তিনি কোনও পদক্ষেপ নেননি কেন।'
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পাঁচজনের একটি গ্যাঙকে ধরে পুলিশ। সেই গ্যাঙ প্রভআবশালী ব্যক্তিদের সেক্সটেপ দেখিয়ে তাদের চাপে রাখত। সেই ভিডিয়োতে বহু রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং আধিকারিকরা ছিলেন বলে অভিযোগ। তবে সেই ভিডিয়োতে থাকা ব্যক্তিদের নাম আজও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।