বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে আগের তুলনায় অনেকটাই সম্প্রসারিত হয়েছে সুন্দরবন। বুধবার এই কথা জানালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় সংসদের সদস্য বেগম সুলতানা নাদিরার এক প্রশ্নের জবাবে এই কথাই জানালেন তিনি। উল্লেখ্য, ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও সুন্দরবনের একটা বিস্তীর্ণ এলাকা আছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে ২০১৫ সালে বাঘশুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ১১৪ হয়েছে। পাশাপাশি সুন্দরবনের কার্বন মজুতের পরিমাণ ২০০৯ সালে ১০৬ মিলিয়ন টন ছিল। সেই পরিমাণ বেড়ে ২০১৯ সালে ১৩৯ মিলিয়ন টন হয়েছে।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনে এখন ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড ও ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী পাওয়া গিয়েছে। বন্য প্রাণীর মধ্যে ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৬ প্রজাতির উভচর, ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ২১০ প্রজাতির মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া আছে। সুন্দরবনের গাছপালা ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বনকর্মীদের সংখ্যাও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশে সুন্দরবন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকার যে যথেষ্ট সচেষ্ট, সেকথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুন্দরবনের প্রায় ৫৩ শতাংশ এলাকা অভয়ারণ্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।’ বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের আয়তন বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকার কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় এর বিস্তৃতি ঘটানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সুন্দরবনের গাছপালা ও বন্প্রাণ রক্ষার জন্য স্মার্ট পেট্রোলিং টিম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের আওতায় থাকা উপকূলবর্তী সুন্দরবন এলাকায় কৃত্তিম ম্যানগ্রোভ অরণ্য তৈরির বিষয়ে জোর দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে।