ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই বছর ডিভিডেন্ড বাবদ কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা বা ২৪ বিলিয়ন ডলার দিতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে রিপোর্টে। এই আবহে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের রাজস্ব ঘাটতি পূরণের টার্গেট ছাপিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, এর আগে আশা করা হচ্ছিল, আরবিআই ১ লাখ কোটি দিতে পারে সরকারকে। এর আগে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বছর ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রায় ৮০০ বিলিয়ন থেকে ১ ট্রিলিয়ন টাকা দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের রাজস্ব ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আরবিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা ২.১ লাখ কোটি টাকা দেবে সরকারকে। এদিকে এই বছর আরবিআই-এর দেওয়া ডিভিডেন্ডে রেকর্ড তৈরি হয়েছে। (আরও পড়ুন: ইউরোপের ধাঁচে আমূল বদলে যাবে কলকাতার মেট্রো ব্যবস্থা, জানলে হতবাক হবেন যাত্রীরা)
আরও পড়ুন: বাকি ২ দফার ভোট, এরই মাঝে BJP-র সম্ভাব্য আসন সংখ্যা জানালেন মার্কিন বিশেষজ্ঞ
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই টানা দ্বিতীয় অর্থবর্ষে সরকারের স্থির করা বাজেট লক্ষ্যের থেকে অনেক বেশি পরিমাণ ডিভিডেন্ড দিচ্ছে আরবিআই। এর ফলে সরকারের ঋণের বোঝা কমতে চলেছে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব ব্যয়ের পরিমাণ বাড়বে। প্রসঙ্গত, বুধবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডিরেক্টররা বৈঠকে বসেন বলে জানা গিয়েছে। সেই বৈঠকেই সরকারকে ডিভিডেন্ড দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগের অর্থবর্ষে আরবিআই সরকারকে ৮৭৪.২ বিলিয়ন টাকা দিয়েছিল। আর এই বছরে আরবিআই সরকারকে ১.০২ ট্রিলিয়ন টাকা দিতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছিল। সরকারও নিজের বাজেটে এই পরিমাণ টাকা পাওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছিল। তবে এর চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ টাকা আরবিআই-এর তরফ থেকে দেওয়া হচ্ছে সরকারকে। (আরও পড়ুন: রাজ্যে ষষ্ঠ পে কমিশনের সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, বড় দাবি শাসকদলের শীর্ষ নেতার)
আরও পড়ুন: ঋণে পাওয়া ছাড়ের ওপর কি আয়কর দিতে হবে ব্যাঙ্ক কর্মীদের? বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের
আরও পড়ুন: লিভ এনক্যাশমেন্ট নিয়ে বড় রায় আদালতের, চাকরিজীবীদের মুখে ফুটবে হাসি?
এদিকে কেন্দ্রীয় এই অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ মোট জিডিপির ৫.১ শতাংশে রাখার লক্ষ্য স্থির করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আরবিআই ২.১ ট্রিলিয়ন টাকা দেওয়ায়, সরকার তাদের রাজস্ব ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আরবিআই প্রতি বছর কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের লভ্যাংশের টাকা দিয়ে থাকে। মোট ব্যালেন্স শিটের ৫.৫ থেকে ৬.৫ শতাংশ টাকা রেখে বাকিটা সরকারকে দিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। আরবিআই যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিবিয়োগ করে, হাতে থাকা ডলারের মূল্য পরিবর্তন, টাকা ছাপানোর ফি সহ বিভিন্ন ভাবে আয় হয় আরবিআই-এর। সেই টাকাই সরকারের হাতে তুলে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির জন্য ব্যালেন্স শিটের ৫.৫ থেকে ৬.৫ শতাংশ টাকা আপতকালীন তহবিল হিসেবে রেখে দেয় আরবিআই।