দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করা হল রিপোর্টে। এর আগে ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লি থেকে ১৩ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছিল। এই আবহে এবারের নির্বাচনে বাজেয়াপ্ত নগদ অর্থের পরিমাণ গতবারের তুলনায় ২০২ শতাংশ বেশি। এছাড়াও দিল্লি নির্বাচনের প্রাক্কালে সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদক এবং মদ। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত নগদ এবং মাদক বাজেয়প্ত সংক্রান্ত ২৭০০-রও বেশি এফআইআর হয়েছে। (আরও পড়ুন: ইউনুসেরই বিরুদ্ধে এবার পথে 'জুলাই বিপ্লবে'র আন্দোলনকারীরা, কী হচ্ছে বাংলাদেশে?)
নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে দিল্লি থেকে ৩৮ কোটি ৬৪ লাখ ২০ হাজার ৫৬৪ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিকে মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৮৮ কোটি ৪০ লাখ ৮ হাজার ৭২৩ টাার। গতবার দিল্লি থেকে নির্বাচনের আগে মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৭ কোটি টাকার। এই আবহে এবারে বাজেয়াপ্ত মাদকের পরিমাণ গতবারের তুলনায় ১০১৭ শতাংশ বেশি। এছাড়া সোনা বা রুপো বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৮০ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার ৯০৩ টাকার। গতবার ৩৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকার মূল্যবান ধাতু বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। এই আবহে এবারে সোনা-রুপো বাজেয়াপ্ত হওয়ার পরিমাণ গতবারের তুলনায় ১৩৯ শতাংশ বেশি। এবারে মদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭০ টাকার। গতবার নির্বাচনের আগে দিল্লি থেকে ২ কোটি ৯১ লাখ টাকার মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এই আবহে এবারে বাজেয়াপ্ত মদের পরিমাণ গতবারের তুলনায় ৬৯ শতাংশ বেশি।
এদিকে নিজের সরকারি বিবৃতিতে দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দাবি করেন, স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে তারা বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, '২০২০ সালের নির্বাচনের তুলনায় এবারে ভোটের আগে আরও বেশি পরিমাণে নগদ, মাদক, মদ উদ্ধার হয়েছে। এই আবহে নির্বাচনে অস্বচ্ছতা দূর করতে আরও কঠোর হয়েছে নির্বাচন কমিশন।' বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২৭০৩টি এফআইআর রুজু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে নর্বাচন কমিশন। নির্বাচন প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে যারা দোষী, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মুখ্য নির্বচানী আধিকারিক। উল্লেখ্য, ৫ ফেব্রুয়ারি এক দফায় দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর ভোট গণনা হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। বিগত প্রায় ১ দশক ধরে আম আদমি পার্টি দিল্লিতে ক্ষমতায় আছে। তবে গতবছর লোকসভা ভোটের আগে আম আদমি প্রধান অরবিন্দর কেজরিওয়াল গ্রেফতার হয়েছিলেন। যদিও তিনি সেই সময় পদ ছাড়েননি। পরে অবশ্য জেল থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পরে তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেন। অতিশি হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।