প্রত্যেকের ট্রেনের টিকিটে ৪৬ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। এমনই দাবি করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ট্রেনে যে বিভিন্ন ছাড় বা কনসেশন দেওয়া হত, তা ফিরিয়ে আনা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে সংসদে রেলমন্ত্রী জানান যে প্রত্যেক টিকিটেই একটা বড় অঙ্কের ছাড় দেওয়া হয়। ধরা যাক, কোনও টিকিটের দাম ১০০ টাকা। সেক্ষেত্রে মাত্র ৫৪ টাকা ধার্য করে রেল। বাকি ৪৬ টাকা ছাড় দেওয়া হয়। অর্থাৎ ট্রেনের টিকিট কাটার সময়ই সেই ছাড় দেওয়া হয়।আর সেই ছাড়ের অঙ্কটা সবমিলিয়ে বছরে ৫০,০০০ কোটি টাকার গণ্ডি পেরিয়ে যায়। রেলমন্ত্রীর কথায়, ‘প্রত্যেক শ্রেণির যাত্রীদের মিলিয়ে প্রতি বছর ৫৬,৯৯৩ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় ভারতীয় রেলওয়ে।’
আগে ট্রেনের টিকিটের অনেকের ‘কনসেশন’ ছিল
আর রেলমন্ত্রী যে উত্তর দিয়েছেন, তা থেকে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, ট্রেনের টিকিটের ক্ষেত্রে এখনই ছাড় বা ‘কনসেশন’ ফেরানোর আশা না করাই ভালো। এমনিতে আগে প্রবীণ নাগরিক-সহ বিভিন্ন যাত্রীদের ট্রেনের টিকিটে বাড়তি ছাড় দিত ভারতীয় রেল। কিন্তু কোভিড মহামারীর পরবর্তী সময় সেই ছাড় তুলে নেওয়া হয়। তা এখনও ফেরানো হয়নি।
প্রবীণদের টিকিটে ছাড় না দিয়ে কত বাড়তি আয় রেলের?
তারইমধ্যে ২০২৩ সালে তথ্য জানার অধিকার আইনের (RTI) প্রেক্ষিতে একটি পরিসংখ্যান সামনে এসেছিল। ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রবীণ নাগরিকদের ট্রেনের টিকিটে যে ছাড় দেওয়া হত, সেটা তুলে দেওয়ার পরে এক বছরের রেলের কোষাগারে বাড়তি ২,২৪২ কোটি টাকা ঢুকেছে। ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে সেই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে বলে জানানো হয়েছিল। ওই পরিসংখ্যান সামনে আসার পরও রেলমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে ট্রেনের টিকিটে ছাড় ফিরছে না। এবারও তেমনই ইঙ্গিত দিলেন।
আরও পড়ুন: Joka to Howrah Metro: জোকা থেকে মেট্রোয় হাওড়া! স্বপ্নপূরণের জন্য মার্চেই ‘অ্যাকশনে’ নামবে ২ ‘স্টার’
ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ের নয়া নিয়ম
এমনিতে ট্রেনের টিকিটে সেই বিশেষ ছাড় ফেরানো না হলেও যাত্রীদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে রেল। এতদিন ১২০ দিন আগে ট্রেনের টিকিট (রিজার্ভেশনের জন্য) কাটতে হত। চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে সেই সময়সীমা কমিয়ে ৬০ দিন করে দিয়েছে রেল। যে সিদ্ধান্তের ফলে যাত্রীরা অনেকটা সুবিধা পাবেন।
কারণ চার মাস আগে থেকে যখন টিকিট কাটতে হত, তখন মাঝপথে অনেক পরিকল্পনা পালটে ফেলতে হত। এখন সেটা হবে না। আর সকলের তো এরকম হয় না যে চার মাস আগে থেকেই ছুটি মঞ্জুর হয়ে যাবে। অনেকের কিছুটা সময় লাগে। ফলে চার মাসের নিয়ম থাকার ফলে তাঁরা টিকিট পেতেন না। কনফার্ম হত না টিকিট। কনফার্ম হলেও সকলে মিলে একসঙ্গে হয়তো সিট পেতেন না। নয়া নিয়মে সেই ঝক্কিটা কমবে।