রতন টাটার প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকাংশটাই দান করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পত্তির মধ্যে থেকে ৫০০ কোটি টাকা পেতে চলেছেন জামশেদপুরের বাসিন্দ মোহিনী মোহন দত্ত। কিন্তু এই রতন টাটা আবার নিজের উইলে নোয়েল টাটার উল্লেখ পর্যন্ত করেননি। তবে ভাই জিমির জন্যে সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন রতন টাটা। যদিও রিপোর্ট অনুযায়ী, মোহিনী মোহনের তুলনায় জিমির প্রাপ্য সম্পত্তির পরিমাণ খুবই কম। জানা গিয়েছে, জিমি মাত্র ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি পাবেন রতনের উইল অনুযায়ী। রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল বর্তমানে টাটা সন্সের প্রধান। তবে এহেন নোয়েলের নামের কোনও উল্লেখই নেই রতন টাটার উইলে। যেখানে মোহিনী মোহন দত্তকে রতন টাটা ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছেন, সেখানে নোয়েল কিছু পেলেন না। (আরও পড়ুন: টাটা সন্সের প্রধান হলেও উইলে নেই নোয়েলের নাম, সৎ ভাইকে নিয়ে কী ভাবতেন রতন?)
আরও পড়ুন: 'বাথরুমেও শিকল…', আমেরিকা থেকে সন্তানকে নিয়ে যেভাবে ফিরেছেন অবৈধবাসী লাভপ্রীত
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্রের ওপর বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ ইস্যুতে কী করছে সরকার? মন্ত্রী বললেন…
এদিকে রতন টাটার উইল ঘিরে বিতর্ক তৈরির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করা হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। রতন টাটার সম্পত্তির একটা বড় অংশ পাবেন মোহিনী মোহন দত্ত। তবে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, মোহিনী দাবি করছেন, তাঁর প্রাপ্য ৬৫০ কোটি টাকা। তবে উইলের এক্সিকিউটররা সম্পত্তির যে মূল্যায়ন করেছেন, তাতে এত টাকা হয়ত আসবে না মোহিনী মোহন দত্তের পকেটে। তবে সরকারি ভাবে এখনও রতন টাটার সম্পত্তির মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়নি। এখনও বম্বে হাই কোর্টে এই উইল প্রোবেট করানো হয়নি বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, রতন টাটার ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা ঘড়ি, পেইন্টিংয়ের মতো সামগ্রী, প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ডিপোজিট পেতে পারেন মোহিনী। (আরও পড়ুন: রতন টাটার ৫০০ কোটির সম্পত্তি পাওয়া মোহিনী মোহন দত্ত কে? কীভাবে পরিচয় দু'জনের?)
আরও পড়ুন: রতন টাটার উইলে সম্পত্তির ৫০০ কোটি পাবেন মোহিনী মোহন দত্ত, কী সম্পর্ক ছিল দু'জনের
এদিকে রতন টাটার উইল বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছেন আইনজীবী দারিয়াস খাম্বাটা এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহযোগী মেহলি মিস্ত্রি।এছাড়াও রতনের সৎ বোন শিরিন এবং ডিয়ান্না জিজিভয়ও এই দায়িত্ব পাল করবেন। স্যার জমশেদজি জিজিভয়ের সঙ্গে রতনের মা সুনুর বিয়ের পরে শিরিন এবং ডিয়ান্নার জন্ম। রতন টাটা দুই সৎবোনের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে অ্যাডভোকেট দারিয়াস খাম্বাটা রতন টাটার উইল ড্রাফট করতে সাহায্য করেছিলেন। (আরও পড়ুন: ২ বছর পর রেপো রেট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত RBI-এর, কমতে পারে EMI-এর বোঝা)
আরও পড়ুন: ইউনুসের আঙুল তাঁর দিকে, ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি ভাঙার ঘটনায় সেই হাসিনা বললেন…
উল্লেখ্য, মিন্টের রিপোর্টে দাবি করা হয়, ২০২২ সালে হুরুন ইন্ডিয়া লিস্ট অনুযায়ী, রতন টাটা ভারতের ৪২১তম ধনী ব্যক্তি ছিলেন। প্রয়াণকলে রতন টাটার সম্পত্তির মধ্যে ছিল টাটা সন্সের ০.৮৩ শতাংশ অংশীদাত্ব। সেই অংশীদারিত্ব যাবে রতন টাটা এনডাওমেন্ট ফাউন্ডেশনে। তাঁর নামে সেই ফাউন্ডেশন বিভিন্ন দাতব্য কাজের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও ব্যক্তিগত ভাবে ওলা, পেটিএম, লেন্সকার্ট, জিভামে, স্ন্যাপডিলের মতো স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছিলেন রতন টাটা। টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এমেরিটাস পদে থাকাকালীন রতন টাটা বছরে বেতন নিতেন আড়াই কোটি টাকা। তাঁর সম্পত্তির মধ্যে অন্যতম হল ৩৫০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট। এছাড়াও আলিবাগে ২০০০ স্কোয়ারফুটের একটি বাংলো এবং মুম্বইয়ের জুহু তারা রোডে দু'তলা একটি বাড়ি। তাঁর এই সব সম্পত্তি যাঁকে যা দিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা তাঁরা হাতে পাবেন বেশ কয়েক মাসের আইনি প্রক্রিয়ার পরে।