দুরন্ত এক্সপ্রেসে এবার নগদের কেলেঙ্কারি। আর তা নিয়ে তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। নগদ ৬০ লক্ষ টাকা পাচার করতে গিয়ে বমাল ধরা পড়ে গিয়েছে রেলেরই কর্মীরা। এই টাকা পাচার করার জন্য একটি পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আর সেই ছক অনুযায়ী রেলের কাপড়ের মধ্যে লুকিয়ে তা পাচার করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তা সফল হয়নি। ওই ৬০ লাখ টাকা–সহ রেলের সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। নাগপুর–মুম্বই দুরন্ত এক্সপ্রেসে এই ঘটনা ঘটেছে বলে খবর।
এদিকে রেলের পার্সেলে নগদ টাকা ভরে তাতে স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই পার্সেলে রেলের কাপড়–জামা রয়েছে বলে সাঁটিয়ে দেওয়া হয় স্টিকার। আর এভাবেই সুকৌশলে পাচার করা হচ্ছিল বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা। গত ১৫ এপ্রিল এই বিপুল পরিমাণ নগদ ধরা পড়ে। আরপিএফ এই নগদ টাকা উদ্ধার করে। আর তখনই গোটা পরিকল্পনা এবং পাচার সামনে চলে আসে। এই ট্রেন যখন মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস স্টেশনে পৌঁছয় তখনই তল্লাশি চালানো হয়। আর তাতেই ৬০ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার হয় ট্রেনের কোচ থেকে। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় আরপিএফ কর্মীদের। তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝড়ের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল মথুরাপুর, ভেঙে পড়ল একাধিক বাড়ি, ঘটনাস্থলে বিধায়ক
অন্যদিকে কেন এই তল্লাশি করা হল? দেশজুড়ে এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। এখন পর্যন্ত দু’দফা ভোটগ্রহণ পর্ব হয়ে গিয়েছে। তৃতীয় পর্বের ভোট আগামী ৭ মে। তাই দেশ জুড়ে তল্লাশি অভিযান জারি আছে। সেই প্রেক্ষিতে নিয়ম অনুযায়ী তল্লাশি চালাতে গিয়েই আরপিএফ কর্মীরা এই নগদের হদিশ পায়। তখনই তাঁরা সেসব বাজেয়াপ্ত করে। আর ধরা পড়ে যায় তিনজন রেলের কর্মী। সরষের মধ্যে ভূত থাকায় আগে তারা ধরা পড়েনি। আগেও এমন কাজ তারা করেছে বলে অনুমান রেলের। সেটাই এবার ধরা পড়ে গিয়েছে।
এছাড়া দুরন্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্রেক ভ্যানে ২৫০টি পার্সেল তোলা হয়েছিল। আর তার মধ্যে ৮টি পার্সেল ছিল যাতে কাপড় আছে বলে লেবেল সাঁটা হয়েছিল। এই বিপুল পরিমাণ পার্সেল স্ক্যানারের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়বে বলেই রাখা হয়েছিল। কিন্তু এক্স–রে স্ক্যানারে বিষয়টি ধরা পড়ে যেতেই সবটা সামনে চলে আসে। তখন ওই তিনজন রেল কর্মীকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। আর কনট্রাকটরকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যিনি এই পার্সেল ভ্যান ভাড়া নিয়েছিলেন। রেল সূত্রে এই খবর মিলেছে।