নৈনিতাল ব্যাঙ্ক এবং উজ্জীবন স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক নামে দুটি ব্যাঙ্ককে নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য মোট ৬৮.১ লক্ষ টাকা জরিমানা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'ইন্টারেস্ট রেট অন অ্যাডভান্স' এবং 'কাস্টমার সার্ভিস ইন ব্যাঙ্কস' সংক্রান্ত কিছু নির্দেশ না মানার জন্য নৈনিতাল ব্যাঙ্ক লিমিটেডকে ৬১.৪০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও, 'লোন অ্যান্ড অ্যাডভান্স - স্ট্যাটিউটরি অ্যান্ড আদার রেস্ট্রিকশনস' সম্পর্কিত কিছু নির্দেশিকা মেনে না চলার জন্য উজ্জীবন স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ককে ৬.৭০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আরবিআই। (আরও পড়ুন: ডিএ বৃদ্ধির পরে সরকারি কর্মীরা পেতে পারেন আরও এক বড় খবর, দাবি খোদ ব্যয় সচিবের)
আরও পড়ুন: সুরাপ্রেমীদের জন্যে সুখবর, এই হুইস্কির ওপরে এক ধাক্কায় ৫০% শুল্ক কমাল সরকার
অপরদিকে শ্রীরাম ফিনান্স নামে একটি নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৫.৮০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আরবিআই। কেওয়াইসি নির্দেশিকা এবং 'ক্রেডিট তথ্য সংস্থাগুলিকে ক্রেডিট তথ্য সরবরাহের জন্য ডেটা ফর্ম্যাট' সম্পর্কিত নির্দেশাবলী অমান্য করার জেরে এই জরিমানা করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: ইলন মাস্কে বিরক্ত হোয়াইট হাউজের ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ শীর্ষ আধিকারিক, দাবি রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা, সীমান্তে BSF-এর হাতে মার খেল ৪ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী
এর আগে মুম্বইয়ের নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেডের ওপরে বিধিনিষেধ চাপায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এই আবহে ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই ব্যাঙ্কের সামনে আতঙ্কিত মানুষের ভিড় জমে গিয়েছিল সাধারণ মানুষের। তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। হাজার হাজার মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্যাঙ্কের বাইরে। তবে অভিযোগ, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও তথ্য তাদের জানানো হয়নি। জানা গিয়েছে, ১৩ ফেব্রুয়ারিতেই আরবিআই-এর তরফ থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভের ওপরে। তা সত্ত্বেও নাকি বৃহস্পতিবার গ্রাহকদের না জানিয়ে ১৩ তারিখ টাকা জমা নিয়েছিল সমবায় ব্যাঙ্কটি। পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি গ্রাহকরা জানতে পারে নিউ ইন্ডিয়া কোঅপারেটিভের ব্যাঙ্কিং কার্যকলাপের ওপরে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এদিকে এর জেরে ব্যাঙ্কের লকারও অপারেট করতে পারেননি গ্রাহকরা। (আরও পড়ুন: মোদী-ট্রাম্প বৈঠকে চোখের পাতা এক হচ্ছে না চিনের? বেজিং বলল...)
আরও পড়ুন: মোদীর ওপর বাংলাদেশ ইস্যু ছেড়ে দিলেন ট্রাম্প, কী বলছে ওপার বাংলার সংবাদমাধ্যম?
বর্তমান পরিস্থিতিতে আরবিআইয়ের থেকে আগেভাগে অনুমতি না নিয়ে মুম্বইয়ের নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেড কোনও ঋণ মঞ্জুর করতে পারবে না। করতে পারবে না কোনও বিনিয়োগ। নতুন করে টাকা জমা নিতে পারবে না। বিক্রি করতে পারবে না কোনও সম্পত্তি। কোনও টাকা দিতে পারবে না। টাকা দেওয়ার বিষয়েও কোনও চুক্তি করতে পারবে না বলে আরবিআইয়ের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। এই আবহে ব্যাঙ্কের বাইরে শুধু একটি ব্যানারে টাঙিয়ে দেওয়া হয়। তাতে লেখা, প্রত্যেক গ্রাহকের পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ ডিপোজিট ইনসিওরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশনের (ডিআইসিজিসি) কাছে জমা রাখা হয়েছে। সেটা সুরক্ষিত আছে। আর ৯০ দিন বা তার আশপাশের সময়ের মধ্যে সেই টাকা ফেরত মিলবে। সেইসঙ্গে ব্যাঙ্কের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, গ্রাহকরা লকারে যে সব বস্তু রেখেছিলেন, সেটা সুরক্ষিত আছে।