মণিপুরে শান্তি ফেরানোয় গুরুত্ব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বারবার বলে এসেছেন বিরোধীরা। এবার সেই সুর শোনা গেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবতের কণ্ঠে। অশান্ত মণিপুর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি মন্তব্য করেন এবার সেখানে শান্তি ফেরানোর বিষয়ে সরকারকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কেন্দ্রে মন্ত্রক বন্টন হওয়ার দিনই মোহন ভাগবতের এমন মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিন নাগপুরের রেশমিবাগে ড. হেডগেওয়ার স্মৃতিভবন কমপ্লেক্সে দলের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি মণিপুর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: 'দশ বছরে অনেক ইতিবাচক হয়েছে দেশে, তার মানে এটা নয় যে…' মনে করালেন RSS প্রধান
আরএসএস প্রধান বলেন, ‘মণিপুর ১০ বছর ধরে শান্ত ছিল। সেখানে বন্দুক সংস্কৃতির অবসান ঘটলেও হঠাৎ রাজ্যটিতে হিংসা বেড়েছে। মণিপুর এক বছর ধরে শান্তির জন্য অপেক্ষা করছে। সংঘাতে বিধ্বস্ত উত্তর পূর্ব রাজ্যের পরিস্থিতি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনা করা উচিত।’ এদিকে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে দেশজুড়ে বিজেপির বিপর্যয় হয়েছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার জন্য সরকার গঠনের জন্য শরিক দলের ওপরেই ভরসা করতে হয়েছে বিজেপিকে। এই অবস্থায় দেশজুড়ে কেন এমন বিপর্যয় তার কারণ খুঁজতে এখন ব্যস্ত বিজেপির শীর্ষ নেতারা। এবিষয়ে অপ্রয়োজনীয় আলোচনা না করার পরামর্শ দিয়েছেন মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, ‘এটা কী হল, কেমন করে হল? আরএসএস এই ধরনের আলোচনায় জড়ায় না। আমরা কেবল ভোট দেওয়ার প্রয়োজনে সচেতনতা তৈরি করার আমাদের দায়িত্ব পালন করি।’
মোহন ভাগবত মনে করেন, সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য শাসক দল এবং বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাঁর মতে, নির্বাচন হল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য একটি প্রতিযোগিতা এবং যুদ্ধ নয়। সেই কথা মাথায় রাখতে হবে। এবার নির্বাচনী প্রচারে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যে বলার বা কুকথা বলার অভিযোগ সামনে এসেছে। তার সমালোচনা করেছেন মোহন ভাগবত। তাতে তীব্র আপত্তি জানিয়ে মোহন বলেন, ‘রাজনৈতিক দল এবং নেতারা একে অপরকে কুকথা বললে তা সম্প্রদায়ের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে। একটি নির্বাচনে সবসময় দুটি পক্ষ থাকে। তবে জয়ের জন্য মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া উচিত নয়। বহু ক্ষেত্রে আরএসএসকে অনেক কারণ ছাড়াই টেনে আনা হচ্ছে।’ এছাড়াও ডিপফেক প্রসঙ্গে প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।