সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সাপ্তাহিক পত্রিকা 'পঞ্চজন্য'তে ইনফোসিসকে আক্রমণ শানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই প্রতিবেদন নিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বিতর্ক। এই আবহে এবার এই বিতর্ক থেকে নিজেদের দূরে সরানোর উদ্যোগ নিল আরএসএস।
এই বিষয়ে আরএসএস-এর সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেদকর টুইট করে জানান যে পঞ্চজন্য-র এই প্রতিবেদনের সঙ্গে আরএসএস-এর কোনও যোগ নেই। তিনি আরও দাবি করেন, ভারতীয় সংস্থা হিসেবে ইনফোসিস ভারতের অগ্রগতির লক্ষ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তিনি সাফাই দিয়ে টুইঠ বার্তায় লেখেন, 'ইনফোসিসের পরিচালিত পোর্টালে অনেক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এই সংক্রান্ত যেই প্রতিবেদন পঞ্চজন্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তা লেখকের ব্যক্তিগত মত এবং পঞ্চজন্য আরএসএস-এর মুখপত্র নয়।'
উল্লেখ্য, আয়করের ই-ফাইলিংয়ের পোর্টালটি তৈর করেছে ইনফোসিস। তবে সেই পোর্টালে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যেই হস্তক্ষেপ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ই-ফাইলিং প্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত করতে ওই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন নির্মলা সীতারমণ। এর আগে জিএসটি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ও কর্পোরেট মন্ত্রকের কাজেও ইনফোসিসের কাজে সমস্যা দেখা গিয়েছিল। এই আবহে পাঞ্চজন্য-র প্রতিবেদনে প্রশ্ন উঠেছে, বিদেশি কোনও গ্রাহককেও কি ইনফোসিস এই ধরণের জঘন্য পরিষেবা প্রদান করে? প্রসঙ্গত, ভারতে আইটি শিল্পের বৃদ্ধি এবং ভারতীয় অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখার জন্য ইনফোসিস পরিচিত। এহেন বড় আকারের এক সংস্থার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো নজিরবিহীন।
আরএসএস ঘনিষ্ঠ জার্নালের প্রতিবেদনে লেখা, 'ইনফোসিসের এক প্রবর্তক নন্দন নিলেকানি কংগ্রেসের হয়ে লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এনআর নারায়ণমূর্তি নীতিগত প্রশ্নে সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন। এই ধরণের সংস্থাকে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দেওয়া উচিত?'