করোনাভাইরাস গোটা দেশে এখন রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষের আয় কমেছে। তৈরি হয়েছে খাদ্যের সংকট। খাবার জোগাড় করার অর্থ নেই গ্রামীণ গরীব মানুষদের। এমন অবস্থায় বিরোধীরা বারবার তাঁদের রোজগার বাড়াবার এবং আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়ে এসেছে। কিন্তু কর্ণপাত করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। এবার বিরোধীদের দাবি নিয়েই দরবার করল আরএসএসের ছত্রছায়ায় থাকা সংগঠন স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ। আর তাতেই অস্বস্তি বাড়ল কেন্দ্রীয় সরকারের।
ঠিক কী জানিয়েছে এই সংগঠন? কেন্দ্রীয় সরকারকে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মনরেগা প্রকল্পে (এমএনআরইজিএ) ১০০ দিনের কাজের তহবিল বাড়ানো হোক। তাতে গ্রামীণ মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কোপে পড়া মানুষজনকে বিনামূল্যে খাদ্য–শস্য দেওয়ার বদলে কর্মসংস্থান বাড়ালে তাঁদের সার্বিক উপকার হবে। একই দাবি বিরোধীরাও করে আসছে দীর্ঘদিন। এমনকী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই দাবি তুলেছিলেন। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এই কাজ করে সেরার শিরোপা পেয়েছেন। পাশাপাশি আরও গ্রামীণ কর্মসংস্থানে অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন।
এদিন স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের দু’দিনের জাতীয় পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, করোনা মহামারী প্রভাবিত ক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিম আরও কয়েক মাস বাড়ানোর দাবি জানানো হবে। তাঁদের খসড়া নথি থেকে জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাসের জেরে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে দেশের জিডিপি। বেকার সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। কাজের জায়গা সংকুচিত হয়েছে। লকডাউন মানুষের জীবনে ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
এই সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের জেরে লকডাউনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নির্মাণ, মৎস্য, হর্টিকালচার–সহ নানা ক্ষেত্র। তাই সহজ পদ্ধতিতে এই ক্ষেত্রগুলিকে ঋণ, প্যাকেজ এবং কর্মসংস্থান সম্পর্কিত ব্যবস্থা করা হোক। আর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উচিত মোরেটরিয়াম ঘোষণা করা। এমনকী চিনের দ্রব্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলেও তার প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে বলে মনে করছে স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ।