‘হর ঘর তিরঙ্গা’ প্রচারকে সফল করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবাইকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রোফাইল পিকচারের জায়গায় জাতীয় পতাকার ছবি লাগানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাংসদরা নিজেদের প্রোফাইল পিকচার বদলান। এমনকি জাতীয় পতাকা হাতে জওহরলাল নেহরুর ছবি নিজেদের প্রোফাইল পিকচার বানিয়েছেন কংগ্রেস নেতারাও। তবে বিজেপির ‘পথ প্রদর্শক’ আরএসএস নিজেদের প্রোফাইল পিকচার না বদলানোয় বিতর্ক শুরু হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতা দিবসের দুই দিন আগে প্রোফাইল পিকচারে জাতীয় পাতাকা লাগাল আরএসএস।
এদিকে আরএসএস-এর অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি ডিসপ্লে পিকচার পালটালেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। তিনিও জাতীয় পতাকাকে নিজের ‘ডিপি’ বানিয়েছেন। পাশাপাশি, শনিবার আরএসএসের পক্ষ থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। ভিডিয়োতে সংঘের তরফে সবাইকে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এর আগে আরএসএস সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিপি না বদলানোয় কংগ্রেসের তরফে আক্রমণ শানানো হয়েছিল। এর জবাবে আরএসএস-এর তরফে পালটা বলা হয়েছিল, 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব' কর্মসূচিতে তাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। পাশাপাশি তাদের দাবি ছিল, এ ধরনের বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। সংঘের অভিযোগ, যেই রাজনৈতিক দল এই অভিযোগ তুলছে, তারাই এই দেশের বিভাজনের জন্য দায়ী।
তবে সংঘের তরফে সাফাই দেওয়া সত্ত্বেও বিতর্ক থামছিল না। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে আরএসএস-এর সোশ্যাল মিডিয়ার ডিপি বদল না হওয়ার বিষয়টি অধিকাংশ মানুষেরই নজর এড়িয়ে যায়নি। অভিযোগ ওঠে, আরএসএস দফতরে তাদের দলীয় পতাকা ছাড়া অন্য কোনও পতাকাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয় না। ইতিহাস হাতড়ে দাবি করা হয়, ৫২ বছর ধরে জাতীয় পতাকাকে ‘মেনে নেয়নি’ সংঘ। এই বিতর্কের মাঝেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে এবার ডিপি বদলাল সংঘ। পাশাপাশি দেশবাসীর উদ্দেশে একটি ভিডিয়ো বার্তাও দেওয়া হয়েছে সংঘের তরফে।