রবি কৃষ্ণন খাজুরিয়া
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সইদের মেয়ে রুবাইয়া নিজের অপহরণকারী হিসেবে ইয়াসিন মালিককে চিহ্নিত করলেন। শুক্রবার বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির হন মুফতি মহম্মদ সইদের মেয়ে রুবাইয়া সইদ। এই সময় তিনি JKLF প্রধান ইয়াসিন মালিক এবং অন্য তিনজনকে তাঁর অপহরণকারী হিসেবে চিহ্নিত করেন। এই প্রথম রুবাইয়াকে এই মামলায় আদালতে হাজির হতে বলা হয়। এর আগে ১৯৮৯ সালে পাঁচ সন্ত্রাসীর মুক্তির বিনিময়ে রুবাইয়াকে মুক্তি দিয়েছিল অপহরণকারীরা। সিবিআই তামিলনাড়ুতে বসবাসকারী রুবাইয়াকে প্রসিকিউশনের সাক্ষী হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ অগস্ট।
জম্মু ও কাশ্মীরে নব্বইয়ের দশকে সন্ত্রাস চরমে উঠেছিল। তখন বিজেপি ও বাম দলগুলির সমর্থনে কেন্দ্রে ভিপি সিংয়ের সরকার চলছিল। সেই সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন মুফতি মহম্মদ সইদ। তাঁর মেয়েকে কয়েকজন সন্ত্রাসী অপহরণ করেছিল সেই সময়। ১৯৮৯ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কন্যাকে অপহরণের খবর গোটা দেশের জন্য বড় ধাক্কা ছিল। এরপর ১৯৯০-এর দশকে এই মামলার তদন্ত সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। নিষিদ্ধ সংগঠন জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) প্রধান ইয়াসিন মালিক এই মামলায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত। সম্প্রতি সন্ত্রাসে অর্থায়নের মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর উপত্যকায় জোর ধরপাকড় শুরু করে ভারতীয় সেনা। তখনই ইয়াসিন মালিক-সহ বেশ কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার জঙ্গিযোগের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। সেসময়ে গ্রেপ্তার হয় ইয়াসিন। এনআইএর বিশেষ আদালতের তরফে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। জঙ্গিদের জন্য অর্থ সংগ্রহ, দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মতো দোষে দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজকর্ম চালানোর ও তা প্রচার করার অভিযোগ রয়েছে জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে।