৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে কর্মজীবনের পর অবসর নিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। শনিবার তিনি অবসর নিয়েছেন। ১৯৮৭ সালে ভারতের বিদেশ সংক্রান্ত পরিষেবায় যোগদান করেছিলেন। তিনিই ছিলেন প্রথম মহিলা যিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের রাষ্ট্রদূত হয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নিজের অবসরের কথা জানান রুচিরা।
আরও পড়ুন: সীমান্তের ওপার থেকে বেআইনী অস্ত্র, নাম না করে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তুলোধোনা
এক্স হ্যান্ডেলে রুচিরা নিজের বিদায়ী বার্তা শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ।’ ১৯৮৭ ব্যাচের ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসের আধিকারিক কাম্বোজ। ১৯৮৭ সালের সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় মহিলাদের মধ্যে টপার হয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালের ২ অগস্ট তিনি নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এর আগে তিনি ফ্রান্স, মরিশাস, সাউথ আফ্রিকায় ইন্ডিয়ান মিশনে, ২০১৭-১৯ সাল পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকায় ভারতীয় হাইকমিশনে নিযুক্ত ছিলেন।এরপর ২০১৯ সালে তিনি ভুটানে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করেন। ২০১৪-১৬ সাল পর্যন্ত প্যারিসে ইউনেস্কোর ভারতীয় দূত হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়াতে বরাবরই সক্রিয় থেকে কাম্বোজ। হিন্দি, ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষায় সাবলীল কম্বোজ ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সে ভারতীয় দূতাবাসে তৃতীয় সচিব হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রসংঘে শান্তিরক্ষা, নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার এবং মধ্যপ্রাচ্য সংকট সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সমস্যা মোকাবেলা করেছেন।
পড়ুনঃ 'সত্যিকারের নেতা এবং রোল মডেল', ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা সেনকে সম্মানিত করবে UN
পড়ুনঃ 'এই নতুন ভারত বাড়িতে ঢুকে মারে...', বললেন UN-এ নিযুক্ত পাক দূত!
কাম্বোজ লন্ডনের কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটে সেক্রেটারি-জেনারেল অফিসের ডেপুটি হেড এবং ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতের চিফ অফ প্রটোকল হিসাবেও কাজ করেছেন। এই পদে অধিষ্ঠিত প্রথম এবং একমাত্র মহিলা ছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, কম্বোজ ব্যবসায়ী দিবাকর কম্বোজের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তাঁদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
নেটিজেনরা তাঁর অবসরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বিভিন্ন পেশার মানুষের পাশপাশি প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত থেকে সাধারণ নাগরিকরাও রুচিরাকে তাঁর ভবিষ্যতের জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।