রাহুল সিং
আর মাত্র কয়েক মাসের অপেক্ষা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২২ সালের মধ্যে ভারতের ভাণ্ডারে যুক্ত হবে প্রথম অ্যান্টি-রেডিয়েশন ক্ষেপণাস্ত্র ‘রুদ্রম’। যে ক্ষেপণাস্ত্রের ‘রুদ্রমূর্তিতে' শত্রুপক্ষের ব়্যাডার এবং নজরদারি ব্যবস্থাকে পুরোপুরি অকেজো করে দেবে ভারতীয় বায়ুসেনা। এমনটাই জানিয়েছেন বিষয়টির সঙ্গে অবহিত এক আধিকারিক।
গত ৯ অক্টোবর প্রথমবার অ্যান্টি-রেডিয়েশন পদ্ধতিতে সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান থেকে সেই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। ওড়িশা উপকূলের উইলার দ্বীপে নিশানা তাক করা হয়েছিল। বায়ুসেনার জন্য ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) যে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে। এমনিতে সুখোই-৩০ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হলেও অন্য যুদ্ধবিমান থেকেই ‘রুদ্রম’ ছোড়া যাবে।
আধিকারিকরা বলেন, ‘আমরা আরও ছ'টি-সাতটি পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করছি। তারপর আমরা ঘোষণা করব যে ২০২২ সালের মধ্যে (অস্ত্রভাণ্ডারে) যুক্ত হওয়ার জন্য তৈরি সেই অস্ত্র। যেমন প্রোগাম করা হয়েছে, তার উপর ভিত্তিতে একটি বিস্তীর্ণ ফ্রিকোয়েন্সি বা কম্পাঙ্কের মধ্যে লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত, খুঁজে বের এবং নিশানা করতে পারে ক্ষেপণাস্ত্রের প্যাসিভ হোমিং হেড।’
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বিস্তীর্ণ সংঘাতের এলাকায় শুত্রুপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পুরোপুরি অকেজো করে দিতে পারে বায়ুসেনা। গত ৯ অক্টোবর ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পরীক্ষার পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, 'শত্রুপক্ষের ব়্যাডার, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি থেকে নিশানা নেওয়া হচ্ছে, তা অকেজো করতে দেশীয়ভাবে আকাশ থেকে ছোড়া দূরপাল্লার অ্যান্টি-রেডিয়েশন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির দক্ষতা তৈরি করে ফেলেছে দেশ।'