কয়লা পাচার কাণ্ডে দিল্লির পাতিয়ালা কোর্টে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠানো হয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে তিনি এদিন অনলাইনেই হাজিরা দিলেন আদালতে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ শুনানি শুরু হয় কয়লা পাচার কাণ্ডে। সেই সময় ভার্চুয়ালি শুনানিতে হাজির ছিলেন রুজিরা।
কয়লা পাচার কাণ্ডে দিল্লিতে একাধিকবার তলব করা হয়েছে রুজিরাকে। তবে কোভিডের কারণ দেখিয়ে সেই হাজিরা এড়িয়েছেন অভিষেক পত্নী। হাজিরা এড়ানোর অভিযোগ এনে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পাতিয়ালা হাউস কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই কয়লা কাণ্ডে রুজিরাকে তলব করে পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। গত ১৯ সেপ্টেম্বর পাঠানো হয়েছিল সেই সমন।
রুজিরার আইনজীবীর যুক্তি, করোনা আবহে তাঁর পক্ষে কলকাতা ছেড়ে দিল্লিতে গিয়ে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁর দুই সন্তানের উল্লেখও করা হয়। তাই অনলাইন মাধ্যমেই রুজিরাকে হাজির হওয়ার অনুমতির আবেদন চাওয়া হয় আদালতের কাছে।
এদিকে এর প্রেক্ষিতে ইডি-র আইনজীবী পালটা সওয়াল করেন, যে দিন প্রথম সমন জারি হয়, সে দিন রুজিরা দিল্লিতেই ছিলেন। আদালত তাঁকে সশরীরে হাজিরা দিতে বলেছিল। কিন্তু তিনি আদালতের নির্দেশ মানেননি। এর প্রেক্ষইতে অভিষেকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির দাবি করে ইডি।
উল্লেখ্য, কয়লা পাচার কাণ্ডে ইডির আবেদনের ভিত্তিতে রুজিরাকে সশরীরে উপস্থিত থাকার সমন পাঠানো হয়। এর আগে ইডির সমনে স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টেরই দ্বারস্থ হয়েছিলেন রুজিরা। চলতি মাসেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে হাজিরার জন্য সমন পাঠিয়েছিল ইডি। অভিষেক ইডি দফতরে হাজিরা দিলেও তাঁর স্ত্রী হাজিরা দেননি। রুজিরা জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে দুই সন্তান রেখে তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়।