কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির জেরে পাততাড়ি গোটাতে হচ্ছে, এই অভিযোগ করে ভারত থেকে বিদায় নিচ্ছে অ্যামনেস্টি ইনটারন্যাশনাল। তবে তাদের কথাকে উড়িয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মানবাধিকারের কথা বলে আইন লঙ্ঘন করা যাবে না, স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে অ্যামনেস্টি চাইলে ভারতে স্বেচ্ছাসেবা মূলক কাজ করতেই পারে অন্য অনেক সংস্থার মতো। কিন্তু ভারতীয় আইন অনুযায়ী, বিদেশি টাকা ব্যবহার করে ঘরোয়া রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ করা যায় না। এই নিয়ম সকলের জন্য প্রযোজ্য। অ্যামনেস্টির প্রতি তির্যক মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছে যে সকল বড়সড় দাবির মূল লক্ষ্য ছিল আইন ভঙ্গ করার বিষয় থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য।
মঙ্গলবার সকালে অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া জানিয়েছে যে তাদের চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে কাজ করা সম্ভব নয়। সমস্ত কর্মীদেরও ছাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানায় তারা। দিল্লি দাঙ্গা থেকে কাশ্মীর, ভারতীয় সরকারের নীতির বিরোধিতা করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে অ্যামনেস্টির অভিযোগ।
অ্যামনেস্টির কার্যকলাপ নিয়ে যে বিভিন্ন এজেন্সি তদন্ত চালাচ্ছে, সেগুলিকেও প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে সংস্থাটি বলে অভিযোগ করেছে কেন্দ্র। এফসিআরএ আইন অনুযায়ী বিদেশ থেকে টাকা পাওয়ার অনুমতি পায়নি অ্যামনেস্টি। সেই কারণে ঘুরপথে অ্যামনেস্টি ইউকে ঘুরপথে টাকা পাঠাত ভারতে নথিভুক্ত চারটি সংস্থাকে। এগুলি সবই আইন বিরুদ্ধ বলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আগের সরকারও যে অ্যামনেস্টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় ও তাদের ঘুরপথে টাকা নেওয়ার রাস্তা আটকেছিল, সেটিও এদিন মনে করিয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। একই ভাবে বিজেপির মুখপাত্র রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর বলেছেন যে ২০০৯ সালেও অ্যামনেস্টি ভারত থেকে চলে গিয়েছিল। সংসদে ইউপিএ মন্ত্রীরা অ্যামনেস্টির কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বলেও জানান তিনি।