এক মার্কিন ডলার = ৭৯.১১ টাকা(রুপি)। সর্বকালের সর্বনিম্ন স্তরে নামল ভারতীয় মুদ্রার দাম। এর আগে রেকর্ড সর্বনিম্ন ছিল ৭৮.৯৭ টাকা। ক্রমাগত বিদেশি তহবিল বেরিয়ে যাওয়াকেই এর জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।
চলতি বছর এখনও পর্যন্ত মার্কিন ডলারের দাম ৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। ডলার সূচক ১০৪.৯০-র বেশি স্তরে ট্রেড করছে।
নগদ ডলারের ঘাটতি এবং ১-বছরের ফরোয়ার্ড প্রিমিয়ামের পতনের কারণে রুপিতে প্রভাব পড়ছে। বছরের শেষ নাগাদ রুপির স্পট ৮০.৫/৮১ স্তরে নেমে যেতে পারে। ক্রমবর্ধমান অপরিশোধিত তেলের দামও এর কারণ।
জুলাই মাসে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ৭৫ bps সুদের হার বাড়াতে পারে। এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতি জুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে সুদের হারের পার্থক্য হ্রাস করার প্রচেষ্টা হতে পারে।
মূলধনের বহিঃপ্রবাহ বেড়ে যাওযার আশঙ্কা করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যদি ভারত থেকে টাকা তুলে নেন, সেক্ষেত্রে মূলধনের পরিমাণের উপর প্রভাব পড়তে বাধ্য।
যদিও আরবিআই লোকসান রোধ করতে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে হস্তক্ষেপ করতে পারে। তবে এতে কিছুটা অবধিই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কারণ বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতি জুড়ে মৌলিক বিষয়গুলিই দুর্বল রয়েছে।
রুপির দরপতন ঠেকাতে সরকার তেল রপ্তানি ও সোনা আমদানিতে কড়াকড়ি এনেছে। সোনার উপর আমদানি কর বাড়িয়েছে। শুক্রবার সরকার সোনার আমদানি শুল্ক ৭.৫% থেকে বাড়িয়ে ১২.৫% করেছে।
অন্যদিকে পেট্রোল এবং ডিজেলের রপ্তানির উপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এভাবে দ্রুত মুদ্রা ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে সরকার। তবে এর ফলে নাস্তানাবুদ হচ্ছে এই সেক্টরে জড়িত ভারতীয় সংস্থাগুলি। শুক্রবার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার ৫%-এরও বেশি হ্রাস পেয়েছে।