এক শীর্ষস্থানীয় রাশিয়ার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে আপাতত স্পুটনিক টিকা ১৮-৬০ বছর বয়সীদের দেওয়া হবে। তিনি বলেন যে বয়স্কদের এই টিকা দেওয়ার আগে আরো পরীক্ষা করার প্রয়োজন। ক্লিনিকাল ট্রায়ালের রেজিস্ট্রশনের পর এই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে তিনি জানান।
ভ্লাদিমির বন্ডারেফ, যিনি রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের Scientific Centre for Expert Evaluation of Medicinal Products-এর প্রধান, তিনি স্পুটনিক নিউজকে জানিয়েছেন যে রাশিয়ায় প্রতিষেধকের টিকা দেওয়া হয় তিনটি ভাগে। একটি হল শিশু থেকে ১৮ বছর বয়সীদের, একটি হল ১৮-৬০ বছর বয়সী ও ষাটোর্ধ্বদের জন্য আলাদা। এখনও পর্যন্ত ১৮-৬০ বছরের লোকজনের পরীক্ষা করা হয়েছে, যেটা ইতিবাচক ফল দিয়েছে। সেই কারণে এই বয়সীদের জন্য টিকা নিরাপদ বলে জানিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ।
তবে এই দাবি মানছেন না গ্যামেলেয়া সাইন্টিফিক রিসার্চের প্রধান। এই সংস্থাই টিকা তৈরী করেছে। অ্যালেক্সান্ডার গিন্টসবার্গ জানান যে তিনি ষাটের কোঠায়, টিকা দিয়েছেন ও সুস্থ বোধ করছেন। রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন যে প্রথম ব্যাচে টিকা দুই সপ্তাহের মধ্যে তৈরী হয়ে যাবে ও মূলত চিকিত্সকদের দেওয়া হবে।
স্পুটনিক ৫ নামের এই টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সবাই সুস্থ আছেন, যাদের টিকা দেওয়া হয়েছিল। পয়লা অগস্ট এই প্রক্রিয়া শেষ হয়। এখনও পর্যন্ত যারা টিকা দিয়েছেন, তাদের মধ্যে কোনও ব্যক্তির করোনা হয়নি। কিন্তু যেখানে করোনা থেকে সবচেয়ে বেশি মারা যাচ্ছেন ৬৫ ঊর্ধ্বের লোকেরা, সেখানে তাদের ওপর টেস্ট না করেই কী করে করোনা টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে, এই দাবি করে দিল রাশিয়া, এই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।