মধ্য রাশিয়ার স্কুলে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালাল এক বন্দুকবাজ। সেই ঘটনায় সাত শিশু-সহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২১ জন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আততায়ী নিজেই গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।
রাশিয়ার তদন্তকারী কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, মস্কোর ৯৬০ কিলোমিটার পূর্বদিকে অবস্থিত ইজেভস্ক শহরের ৮৮ নম্বর স্কুলে হামলা চালায় এক আততায়ী। বন্দুকবাজের গুলিতে সাত শিশু-সহ মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১৪ জন শিশু। সাতজন প্রাপ্তবয়স্কও আহত হয়েছেন। ওই প্রদেশের গভর্নরের অ্যালেক্সজান্ডার ব্রেচালভ দাবি করেছেন, আততায়ী আত্মহত্যা করেছে। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তা বাহিনী। যে স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয়।
আরও পড়ুন: Bihar Shooting Spree: ৪০ মিনিটে জাতীয় সড়কে গুলিবিদ্ধ ১১, মৃত ১! হাড়হিম করা ঘটনা পড়শি রাজ্যে
আততায়ী কে ছিল?
সংবাদসংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার তদন্তকারী কমিটির তরফে জানানো হয়েছে যে আততায়ী আর্টিয়োম কাজানস্তেভ ওই স্কুলেই পড়ত। ৩৪ বছরের বন্দুকবাজ একটি কালো টি-শার্ট পরেছিল। টি-শার্টে 'নাৎসি' প্রতীক ছিল। তবে কী কারণে ওই ব্যক্তি হামলা চালিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাশিয়ার ন্যাশনাল গার্ড জানিয়েছেন, মামুলি দুটি হ্যান্ডগান থেকেই গুলি ছুড়েছে আততায়ী। একাধিক হত্যা এবং অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
পুতিনের শোকপ্রকাশ
ওই গুলি চালনার ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসমূলক কাণ্ড’ বলে চিহ্নিত করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তিনি জানিয়েছেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষকে যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেইসঙ্গে ১৩ জনের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন তিনি। ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, ‘(রাশিয়ার) স্কুলে প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। যেখানে একটি সন্ত্রাসমূলক ঘটনা ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: Begusarai Mass Shooting: বিহারের বেগুসরাইয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিশের জালে ৪
রাশিয়ার স্কুলে গণহত্যা
সম্প্রতি রাশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক স্কুলে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের মে'তে কাজানে একটি স্কুলে ন'জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৮ সালে ক্রাইমিয়ার একটি টেকনিকাল কলেজে মৃত্যু হয়েছিল কমপক্ষে ২০ জনের।