ইউক্রেনে রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এমভি বাংলা সমৃদ্ধির জীবিত ২৮ নাবিককে জাহাজ থেকে সরিয়ে নিয়ে একটি বাঙ্কারে রাখা হয়েছে৷ তারা সুস্থ আছেন বলে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছে তাঁদের পরিবার৷
শুক্রবার সকালে জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ার-সহ দু'জন পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়েছেন একথা৷ তবে বাঙ্কার থেকে তাঁরা কখন পরবর্তী গন্তব্যে রওনা হবেন, সে বিষয়ে কোনও তথ্য জানাতে পারেননি৷
বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, প্রথমে তাদের পোল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হলেও যুদ্ধের পরিস্থিতি বিবেচনা করে এখন তাঁদের মলদোভা হয়ে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে৷ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় জাহাজ থেকে ২৮ নাবিক নামার আগেই এর মাস্টার জাহাজটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন৷
মুম্বই থেকে তুরস্ক হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে যায় বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি৷ কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলে ২৯ জন ক্রু নিয়ে জাহাজটি আটকে পড়ে৷
গত বুধবার সন্ধ্যায় রকেট হামলায় জাহাজের ব্রিজ ধ্বংস হয়ে যায়। মৃত্যু হয় থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমানের৷ ক্ষোভ আর উদ্বেগের মধ্যে বৃহস্পতিবার জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ২৮ জন নাবিক ও প্রকৌশলীকে সরিয়ে নেওয়া হয় নিরাপদ স্থানে৷ হাদিসুর রহমানের মরদেহ সংরক্ষণের জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে পোল্যান্ডের ওয়ারশতে বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়৷
বাংলার সমৃদ্ধির চিফ ইঞ্জিনিয়ার ওমর ফারুক তুহিনের মা মোছাম্মৎ খায়রুন নেছা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘সেখানে আটকে পরার পর থেকে প্রতিদিন ফোনে কথা হত। কিন্তু গত দু'দিন আর ফোন করতে পারছে না৷ শুধু ভয়েস মেসেজ পাঠাচ্ছে আমার ছেলে ও ভাইকে৷ বলেছে, আম্মুকে বল, আমার জন্য দোয়া করতে। শিপ থেকে নেমে গিয়েছে। এখন বাঙ্কারে অবস্থান করছে৷'
ওমর ফারুক তুহিনের ছোট ভাই ওমর শরিফ তুষার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘আজ সকাল ৯টার দিকে মেসেজ পাঠিয়েছিলাম। জবাবে বলেছে, বাঙ্কারে আছি, সুস্থ আছি।' অন্য নাবিকরা বেশিরভাই তখন ঘুমাচ্ছিলেন৷ তখন ভোর রাত সবাই ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন৷ ‘তবে সেখান থেকে কখন মুভ করবে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি৷ যেহেতু নিরাপত্তার বিষয় আছে। তবে ওখানে বেশ ঠাণ্ডা তাপমাত্রা কম৷'
এছাড়াও জাহাজের ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমানের ভায়রা আবদুল্লাহ আল মামুনও বিডিনিউজ বলেছেন, ‘জাহাজ থেকে নামার পর তাঁরা সবাই বাঙ্কারে আছেন এবং নিরাপদে আছেন৷'
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)