তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দলাই লামা সোমবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন। এই সংঘর্ষে উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত শান্তি ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান। ১৪তম দলাই লামা বলেন, ‘আমাদের পৃথিবী এতটাই পরস্পরনির্ভর হয়ে উঠেছে যে দুটি দেশের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ অনিবার্যভাবে বিশ্বের বাকি অংশকে প্রভাবিত করে। যুদ্ধ সেকেলে, অহিংসাই একমাত্র উপায়। আমাদের অন্যান্য মানুষের কথা বিবেচনা করে মানবতার খাতিরে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এভাবেই আমরা আরও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তুলতে পারব।’
উল্লেখ্য, চিনা আগ্রাসনের জেরে দলাই লামা নিজে নিজের দেশ তিব্বত ছেড়ে ভারতে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। ১৯৫৯ সাল থেকে তিনি ভারতেই আছেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্ত ধর্মগুরু বলেন, ‘আমাদের আশা হারানো উচিত নয়। বিংশ শতাব্দী ছিল যুদ্ধ ও রক্তপাতের শতাব্দী। একবিংশ শতাব্দীকে অবশ্যই সংলাপের শতাব্দী হতে হবে।’
ইউক্রেনের তরফে দাবি কার হয়, রাশিয়ার প্রায় ৪৩০০ সেনাকর্মীকে খতম করা হয়েছে। পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রায় ৩৫০ জন সাধারণ নাগরিক রাশিয়ার হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হান্না মালিয়া আরও দাবি করেন, রাশিয়ার ১৪৬টি ট্যাঙ্ক, ২৭টি যুদ্ধবিমান, ২৬টি হেলিকপ্টারও ধ্বংস করা হয়েছে। এদিকে রাশিয়ার তরফে দাবি করা হয়েছে যে এই সংঘর্ষে ইউক্রেনের ৪৭১ জন সেনাকর্মীকে বন্দি করেছে তারা। তাছাড়া ৯৭৫টি সামরিক স্থাপনা ধ্বংসেরও দাবি করেছে রুশ সেনা। এই পরিস্থিতিতে আজ বেলারুশ সীমান্তে ইউক্রেন ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা বৈঠকে বসে। অপরদিকে রাষ্ট্রসংঘও বিশেষ সভা ডেকেছে ইউক্রেন ইস্যুতে।