প্রতিবেশী পোল্যান্ডের নিকটবর্তী লভিভ শহরে অবস্থিত ইউক্রেনের একটি সেনা প্রশিক্ষণকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া৷ হামলায় ৩৫ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি ইউক্রেনের৷
লভিভ কর্তৃপক্ষ জানায়, রাশিয়ার সেনারা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর পিসকিপিং অ্যান্ড সিকিউরিটি নামে একটি সেনা প্রশিক্ষণকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে৷ শহরটির মেয়র আনদ্রি সাদোভি বলেন, এ ঘটনায় ৩৫ জন নিহত এবং ১৩৪ জন আহত হয়েছেন৷
জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রটিতে ইউক্রেনের সেনারা বিদেশি প্রশিক্ষকদের হাতে প্রশিক্ষণ নিতেন৷ তাছাড়া এটি ছিল ন্যাটো ও ইউক্রেনের সেনাদের যৌথ মহড়াকেন্দ্র৷ হামলার সময় সেখানে কোনও বিদেশি সেনা বা ন্যাটোর সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন কিনা, তা জানা যায়নি৷ অবশ্য ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু আগেই বিদেশি সেনারা দেশ ত্যাগ করেছিল৷
প্রাথমিক তথ্যে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরের আকাশে উড্ডয়নরত রাশিয়ান বিমান থেকে প্রশিক্ষণকেন্দ্রটি লক্ষ্য করে প্রায় ৩০টি ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়৷ এর মধ্যে দুটি মিসাইল ধ্বংস করতে সক্ষম হয় ইউক্রেনের সেনারা৷
এদিকে গত শনিবার আমেরিকা ইউক্রেনে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর ঘোষণা দেয়৷ তবে পশ্চিমী দেশগুলির পাঠানো অস্ত্র লক্ষ করে হামলা চালানো হতে পারে বলে সতর্ক করে রাশিয়া৷
‘রাশিয়া ইউক্রেন দখল করতে পারবে না’
রাজধানী কিয়েভের নিকটে রাশিয়ান সৈন্যদের উপস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে ইউক্রেন৷ সংবাদমাদ্যমগুলি জানায়, দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা আক্রমণের পর রাশিয়ার সেনারা রাজধানী কিয়েভ থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে৷
চলমান পরিস্থিতিতে রাশিয়ান সেনারা কিয়েভ অবরোধ করে রাখতে পারে এমন আশঙ্কা করছে ইউক্রেন৷ রাজধানী শহরটিতে এখনও প্রায় দুই মিলিয়ন সাধারণ মানুষ অবস্থান করছেন বলে জানা গিয়েছে৷
রাশিয়ান সেনারা শহর অবরোধ করে রাখলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য দুই সপ্তাহের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মজুত রাখা আছে বলে জানায় কিয়েভ৷ এদিকে শনিবার রাতে এক ভিডিয়োবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ানরা ইউক্রেন জয় করতে পারবে না৷ তাদের সেই শক্তি নেই৷ তারা শুধু সহিংসতা ছড়াচ্ছে৷’
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)