রাশিয়া ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিকরা সৌদি আরবে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের বিষয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করেছেন। তবে বৈঠকে ইউক্রেনের কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভ অংশ না নিলে তার দেশ এই সপ্তাহের আলোচনার কোনও ফলাফল মেনে নেবে না। ইউরোপীয় মিত্ররাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে তাদের কোণঠাসা করা হচ্ছে। মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও এবং রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বৈঠকে অংশ নেন।
মার্কো রুবিও বলেছেন, দুই দেশ তাদের নিজ নিজ দূতাবাসে কর্মী পুনর্বহালে সম্মত হয়েছে। কয়েক বছর ধরে বিপুলসংখ্যক কূটনীতিককে বহিষ্কারের কারণে উভয় দূতাবাসই কঠোরভাবে আঘাত পেয়েছে এবং ইউরোপীয় দেশগুলির সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
পুতিন-ট্রাম্প বৈঠক শীঘ্রই?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠকের পথ প্রশস্ত করতেও এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পুতিনের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ রাশিয়ার চ্যানেল ওয়ানকে বলেছেন, ওই শীর্ষ বৈঠকের জন্য এখনও কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি, তবে আগামী সপ্তাহে এটি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
উশাকভ বলেছিলেন যে দুই দেশ ‘একে অপরের স্বার্থ বিবেচনায় নিতে’ এবং তাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে তবে তাদের অবস্থান ‘আরও কাছাকাছি আসছে তা বলা শক্ত’।
মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, শান্তি চাওয়ার ব্যাপারে রাশিয়ানরা কতটা আন্তরিক এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যায় কিনা তা নির্ধারণের লক্ষ্যে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা: রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে আমেরিকা ইউক্রেন আক্রমণের কারণে মস্কোর উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলি হ্রাস করার পক্ষে। রিয়াধে আলোচনার পর ল্যাভরভ সাংবাদিকদের বলেন, পারস্পরিক লাভজনক অর্থনৈতিক সহযোগিতা উন্নয়নে কৃত্রিম বাধা অপসারণের জোরালো আগ্রহ রয়েছে।
এদিকে এই আলোচনায় ইউক্রেনের অনুপস্থিতি অনেক ইউক্রেনীয়কে সমস্যায় ফেলেছে বলে উদ্বিগ্ন মিত্ররা এবং ফ্রান্স যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্য ইইউ দেশ এবং যুক্তরাজ্যের জরুরি বৈঠক ডেকেছিল।
অন্যদিকে রুবিও বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন হবে এবং ইইউ আলোচনায় অংশ নেবে।
এদিকে, জেলেনস্কি চলতি সপ্তাহে নির্ধারিত সৌদি আরব সফর স্থগিত করেছেন। ওই নেতা বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া আলোচনার সঙ্গে তার সফরের সম্পর্ক এড়াতে চান। আগামী ১০ মার্চ তার সফরের তারিখ পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।