রাশিয়ার আক্রমণে বিগত প্রায় ৫০ দিনে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেন। তবে এরই মাঝে রুশ সেনাকে প্রতিহত করতে নিজেদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে তারা। এর জেরে শক্তিশালী রুশ সেনা নিজেদের ‘লক্ষ্যে’ পৌঁছতে পারছে না। পিছপা হতে হচ্ছে রাশিয়াকে। আর এরই মাঝে প্রতিআক্রমণের পথ বেছে নিয়েছে ইউক্রেন। এই আবহে কৃষ্ণ সাগরে এক রুশ রণতরীর উপর হামলা চালিয়ে সেটিকে প্রায় ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেনন। এই বিষয়ে ওডেসার গভর্নর বলেছেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বুধবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে কৃষ্ণ সাগরে একটি রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
টেলিগ্রামে ওডেসার গভর্নর ম্যাক্সিম মার্চেনকো লেখেন, ‘কৃষ্ণ সাগরের পাহারায় মোতায়েন থাকা নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজের খুব মারাত্মক ক্ষতি করেছে। ইউক্রেনের জয় হোক।’ এদিকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্টোভিচ বলেছেন, ‘রাশিয়ান ব্ল্যাক সি ফ্লিটের ফ্ল্যাগশিপ’ মস্কভার উপর আচমকা এই হামলা চালানো হয়েছিল। তিনি জানান, জাহাজে মোট ৫১০ জন ক্রু ছিলেন। তাঁর দাবি, এই ঝোড়ো আবহাওয়ায় এই জাহাজটির সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই।
এদিকে যুদ্ধজাহাজে হামলার বিষয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনও নিশ্চিত খবর দেওয়া হয়নি। বিষয়টিকে অবশ্য তারা অস্বীকারও করেনি। এদিকে এরই মাঝে ক্রেমলিনের চিন্তা বাড়িয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের জন্য আরও ৮০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন। সূত্রের খবর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে শীঘ্রই উচ্চ পদস্থ কোনও কর্তা ইউক্রেনে যাবেন। মনে করা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বা ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নিজেই যেতে পারেন ইউক্রেনে। এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কিয়েভে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত শহরের রাস্তাতেও হাঁটতে দেখা গিয়েছিল বরিস ও জেলেনস্কিকে।