ছত্তিশগড়ে দ্রুতগতিতে একটি গাড়ি ধাক্কা মারল স্কুটারকে। তারফলে আহত হয়েছেন তিনজন আরোহী। ঘটনাটি ঘটেছে রায়পুরে। ঘটনায় আহতদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। অভিযোগ উঠেছে, চালক এক রাশিয়ান তরুণীকে কোলে বসিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তারওপর দুজনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, ধাক্কা মারার পর রাশিয়ান তরুণী মদ্যপ অবস্থায় রাস্তার মধ্যে হট্টগোল করেন। তিনি সকলের সামনে চিৎকার-চেঁচামেচি এবং কান্না করতে শুরু করেন। পুলিশের সঙ্গে থানায় যেতেও আপত্তি জানান। ঘটনায় পুলিশ চালক এবং রাশিয়ান তরুণীকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: চিনার পার্কে মোটরবাইক আরোহীকে পিষে দিল বাস, মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনায় গ্রেফতার চালক
জানা গিয়েছে, গাড়ি চালকের আসনে বসেছিলেন একজন আইনজীবী। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই দুজনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তার ওপর রুশ তরুণীকে কোলে বসানোর ফলে ঠিকমতো রাস্তা দেখতে পারেননি চালক। তার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই স্কুটিকে ধাক্কা মারে। তাতে তিনজন আরোহী ছিলেন। তারা সকলেই আহত হয়েছেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে মেকাহারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে, দুর্ঘটনার পরেই রাশিয়ান তরুণী গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োই দেখা গিয়েছে, পুলিশ এবং ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়া মানুষদের সামনে তিনি কাদছেন এবং চিৎকার করছেন। পুলিশ তরুণীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি আপত্তি জানান। তিনি জানান, তাঁর ফোন হারিয়ে গিয়েছে। এনিয়ে তিনি চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করেন। একজন পুলিশ অফিসার রুশ তরুণীকে থানায় যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করতে বলেন। কিন্তু, তিনি পুলিশের কথায় কোনও কর্ণপাত করেননি এবং নিজের বিষয়েই কথা বলতে থাকেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একজন মহিলা কনস্টেবল মদ্যপ রাশিয়ান তরুণীকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, রাশিয়ান ওই তরুণী ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে এসেছিলেন। অবশেষে ওই তরুণী এবং আইনজীবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তেলিবান্ধা থানার পুলিশ জানিয়েছে, যে গাড়িটিতে ‘ভারত সরকার’ স্টিকার লাগানো ছিল। গাড়ির মালিক এবং মহিলাকে আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের জন্য পুলিশ তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।