কৃষ্ণসাগরের উপর রাশিয়ার বিমান এবং আমেরিকার ড্রোনের মুখোমুখি ধাক্কা লাগল। মার্কিন সামরিক বাহিনীকে উদ্ধৃত করে এমনই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএফপি। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমেরিকার তরফে দাবি করা হয়েছে যে রাশিয়ার চরম বেপরোয়া এবং অপেশাদারিত্ব মনোভাবের কারণে সেই ঘটনা ঘটেছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিকভাবে রাশিয়ার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে ওই ঘটনার জেরে ওয়াশিংটন এবং মস্কোর সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে বলে মত আন্তর্জাতিক মহলের।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন সামরিক বাহিনীর ইউরোপিয়ান কম্যান্ডের তরফে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে যে কৃষ্ণসাগরের উপর আন্তর্জাতিক জলসীমায় মার্কিন এমকিউ-৯ ড্রোন (মার্কিন স্পাই ড্রোন) চালানো হচ্ছিল। ওই ড্রোনকে ‘ইন্টারসেপ্ট’ করে রাশিয়ার দুটি সুখোই-২৭ যুদ্ধবিমান। সকাল ৬ টা ৩ মিনিটে (গ্রিনিচ সময় অনুযায়ী) ড্রোনের সঙ্গে রাশিয়ার একটি সুখোই যুদ্ধবিমানের ধাক্কা লাগে।
আমেরিকার সামরিক বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ধাক্কার আগে একাধিকবার এমকিউ-৯ ড্রোনের উপর তেল ফেলে দিয়ে যায় রাশিয়ার দুটি যুদ্ধবিমান। সেইসঙ্গে একাধিকবার বিপজ্জনকভাবে রাশিয়ান সুখোই যুদ্ধবিমান ড্রোনের সামনে দিয়ে বেরিয়ে যায় বলে আমেরিকার সামরিক বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্যে অবস্থিত কৃষ্ণসাগর। যে কৃষ্ণসাগরের লাগোয়া রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মতো দেশ আছে। ওই এলাকায় মার্কিন বায়ুসেনার দায়িত্বপ্রাপ্ত এয়ারফোর্স জেনারেল জেমস হেকার দাবি করেছেন, আন্তর্জাতিক জলসীমায় রুটিন টহল দিচ্ছিল এমকিউ-৯ ড্রোন। সেইসময় সেই ড্রোনকে 'ইন্টারসেপ্ট' করে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান। তারইমধ্যে ওই ড্রোনে একটি রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ধাক্কা মারে। তার জেরে পুরো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এমকিউ-৯ ড্রোন। তাঁর কথায়, 'এই ঘটনায় রাশিয়ানদের চরম বেপরোয়া এবং অপেশাদারিত্ব মনোভাবের জন্য দুটি এয়ারক্রাফট ভেঙে পড়ার ঝুঁকির মুখে ছিল।'
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)