নরেশ কে ঠাকুর
এখনও রাশিয়া এবং ইউক্রেনের দ্বন্দ্ব থামছে না। তারইমধ্যে হিমাচল প্রদেশের ধরমশালায় ইউক্রেনের বান্ধবীর সঙ্গে বিয়ে সারলেন রাশিয়ার বংশোদ্ভূত ইজরায়েলের এক যুবক।
বছরদুয়েকের প্রেমপর্বের পর গত মঙ্গলবার রাশিয়ার বংশোদ্ভূত সের্গেই নোভিকোভ এবং ইউক্রেনের ইলোনা ব্রামোকা বিয়ে করেন। বছরখানেক ধরে তাঁরা ধরমকোট গ্রামে থাকছেন। যা হিমাচলের ‘তেল আভিভ’ নামে পরিচিত। ধরমশালাতেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। সেইমতো মঙ্গলবার খারোতা গ্রামের দিব্যা আশ্রমের রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে বিয়ের আয়োজন করা হয়।
সেখানে চিরাচরিত হিন্দু রীতি মেনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সের্গেই এবং ইলোনা। দু'জনেই ভারতীয় পোশাক পরেছিলেন। কুর্তা-পাজামা, পাগড়ি এবং শেহরায় দারুণ লাগছিল সের্গেইকে। ইলোনাও কম যাননি। লাল লেহেঙ্গা-চোলিতে একেবারে ভারতীয় লাগছিল ইউক্রেনের ইলোনাকে। শোভাযাত্রা করে বিয়ে করতে আসেন। অগ্নিকে সাক্ষী রেখে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। সেইসময় সেই রীতির অর্থ, গুরুত্ব বুঝিয়ে দেন এক অনুবাদক। বুঝিয়ে দেন মন্ত্রের অর্থও।
আরও পড়ুন: Viral News: লজেন্স খেয়ে বলতে হবে স্বাদ, বাড়িতে বসেই বেতন পাবেন ৬২ লক্ষ টাকা!
জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এসেছিলেন সের্গেই এবং ইলোনার পরিচিতরাও। লোকসংগীতে নাচানাচি চলে। স্থানীয় এক রাঁধুনির তৈরি করা তৈরি কাঙ্গরি ধামেও মজে ওঠেন আমন্ত্রিতরা। যা ওই এলাকার অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার।
রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। সেই যুদ্ধ নিয়ে ভারসাম্যের কূটনীতি বজায় রেখেছে ভারত। আমেরিকার পাশে দাঁড়িয়ে রাশিয়ার বিরোধিতা করেনি। বরং রাষ্ট্রসংঘের রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে নয়াদিল্লি। প্রথম থেকেই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের সওয়াল করেছে।
আমেরিকা, ফ্রান্সের সামনে মাথা নত করেনি নরেন্দ্র মোদী সরকার। গত এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে মোদী বলেছিলেন, 'আমি ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার কথা বলেছি। আমি শুধুমাত্র তাঁদের কাছে শান্তির পক্ষে সওয়াল করিনি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের (ভলোদিমির জেলেনস্কির) সঙ্গে সরাসরি আলোচনার জন্য (রাশিয়ার) প্রেসিডেন্ট (ভ্লাদিমির) পুতিনকে পরামর্শ দিয়েছি। আমাদের সংসদে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।'
আরও পড়ুন: সাইকেলের লিক সারানোর মতো রাস্তার গর্ত মেরামত! এটাও হয়? রইল ভাইরাল ভিডিয়ো
তবে বুচার গণহত্যার ঘটনার নিন্দা করেছে ভারত। বুচায় ইউক্রেনীয় নাগরিকদের গণহত্যার নিন্দা করে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিল। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেছিলেন, ‘সম্প্রতি ইউক্রেনের বুচা শহরে মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগজনক। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করছি এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিকে সমর্থন করি।’ সেইসঙ্গে নিজেদের অবস্থান অনড় থেকে ভারতের প্রতিনিধি জানান, আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হওয়া উচিত।